ইথিওপিয়া থেকে ৭ কর্মকর্তাকে বহিষ্কার এবং ‘পারসন অব নন গ্রাটা’ ঘোষণার কারণ দর্শাতে বললো জাতিসংঘ। গত বুধবার (৬ অক্টোবর) নিরাপত্তা পরিষদে দেশটির প্রতিনিধিকে প্রশ্নের মুখে ফেলেন মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।
অধিবেশনে জাতিসংঘ কর্মকর্তাদের বহিষ্কারের কারণ তুলে ধরেন ইথিওপিয়ার প্রতিনিধি। দাবি করেন, লাখের বেশি মানুষকে সরকার বিরোধী আন্দোলনে উসকানি দেয়া হয়েছে। সরকারি বাহিনীর সাথে লড়াইরত টাইগ্রে বিদ্রোহীদেরও ইন্ধন দেয়ার অভিযোগও আনা হয়। এ বক্তব্যের পর মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস অভিযোগগুলোর পক্ষে উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণ হাজিরের আহ্বান জানান। প্রতিশ্রুতি দেন, দেশটির পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতে কর্মকর্তাদের জবাবদিহির মুখোমুখি করা হবে।
অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, ইথিওপিয়ায় জাতিসংঘের কোনো রাজনৈতিক এজেন্ডা নেই। আমাদের একমাত্র লক্ষ্য জনকল্যাণ। দেশটিতে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মানুষ অনাহারে-গোলাগুলিতে প্রাণ হারাচ্ছেন। এ পরিস্থিতিতে ৭ কর্মকর্তাকে বহিষ্কার এবং ইথিওপিয়ায় প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞায় আমরা হতবাক। কেন তাদের সাথে এই আচরণ, সেটার উপযুক্ত জবাব চাই। দেশটির প্রতিনিধির কাছেও চেয়েছি তথ্য প্রমাণ।
প্রসঙ্গত, জাতিগত সংঘাতের কারণে ইথিওপিয়ানরা দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি- এ প্রতিবেদন প্রকাশের কারণে গেলো সপ্তাহে বহিষ্কৃত হন জাতিসংঘের ৭ কর্মকর্তা।
এম ই/
Leave a reply