‘ডিএনএ টেস্টে লাশ শনাক্তে ২১ দিন লাগতে পারে’

|

নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতদের মরদেহ শনাক্তে অন্তত ৪ দিন সময় লাগবে। আর, ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে শনাক্ত করতে হলে ২১ দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন নেপালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস। এর ফলে, দীর্ঘায়িত হতে পারে বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের স্বজনদের অপেক্ষা।

এর আগে, পোস্টমর্টেমসহ কিছু আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের মরদেহ দেশে আনা সম্ভব বলে জানিয়েছেন, বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী শাহজাহান কামাল। দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল রাজেন্দ্র ছেত্রির সাথে বৈঠক শেষে একথা জানান মন্ত্রী।

তবে, নেপালের সেনাপ্রধান জেনারেল রাজেন্দ্র ছেত্রি জানান, পোস্টমর্টেম এবং মরদেহ শনাক্তের কাজ চলছে। এটি সময়সাপেক্ষ কাজ, পুরো প্রক্রিয়া শেষ হতে কতদিন লাগবে না এখনই বলা যাচ্ছে না। আর যেহেতু তদ্ন্ত চলছে, তাই এই দুর্ঘটনার জন্য আসলে কে দায়ী সে সম্পর্কে এখনই মন্তব্য করা উচিত হবে না।

বেসামরিক বিমান পর্যটন মন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল বলেন, আমরা তাদের কাছে জানতে চেয়েছে আমরা ব্যবস্থা নিলে তারা মরদেহ নিয়ে যাবার অনুমতি দেবেন কিনা। তারা বলেছেন, পোস্টমর্টেম শেষ করে তারপর নিয়ে যেতে পারবো।

এদিকে, নেপালের সিভিল এভিয়েশন এখনও দাবি করছে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ভুল বোঝাবুঝি।

নেপাল সিভিল এভিয়েশন অথরিটির মহাব্যবস্থাপক বলেন সঞ্জীব গৌতম বলেন, বিমানটিতে যান্ত্রিক কোনো ত্রুটি ছিলো না। প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি, ভুল বোঝাবুঝির কারণেই এই দূর্ঘটনা ঘটেছে। কন্ট্রোল টাওয়ার থেকে পাওয়া তথ্য নিয়ে বিভ্রান্ত ছিলেন চালক। দক্ষিণ প্রান্ত দিয়ে অবতরণের কথা বলা হলেও চালক উত্তর অংশ দিয়ে অবতরণের চেষ্টা করলে বিধ্বস্ত হয় বিমানটি।

যদিও ঢাকায় ইউএস বাংলা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কারা দায়ী তা ব্ল্যাকবক্স পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া বলা যায় না।

এ অবস্থায়, বিমান দুর্ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করতে নেপালকে সহায়তা করার ঘোষণা দিয়েছে চীন। নিহতদের তালিকায় চীনের এক যাত্রীও রয়েছেন।

নেপালস্থ চীনা দূতাবাসের সহকারী প্রধান ইয়াং শিকাও বলেন, দুর্ঘটনায় আমাদের দেশের একজন নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। কীভাবে এবং কেন এই দুর্ঘটনা ঘটলো সে বিষয়টি তদন্ত করতে বেইজিংও প্রস্তুত।

যমুনা অনলাইন: টিএফ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply