সাঁকো থেকে পড়ে দুই শিশুর মৃত্যুতেও টনক নড়েনি কর্তৃপক্ষের

|

রাঙ্গামাটির দুর্গম এলাকা লংগদুর আটারকছড়া ইউনিয়নের ৪/৫ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগের অপর নাম এই সাঁকো।

সেতু নেই, তাই ভরসা নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো। ঝুঁকি নিয়েই চলছে পারাপার। রাঙ্গামাটির দুর্গম এলাকা লংগদুর আটারকছড়া ইউনিয়নের ৪/৫ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ চরমে। সম্প্রতি সাঁকো থেকে পড়ে দুই শিশুর মৃত্যুতেও টনক নড়েনি কর্তৃপক্ষের। সেতু নির্মাণে নেই কোনো উদ্যোগ।

গ্রীষ্মকালে হেঁটে পার হওয়া গেলেও, বর্ষাকালে একমাত্র ভরসা নৌকা অথবা বাঁশের সাঁকো। একটি পাকা সেতুর অভাবে বছরের পর বছর এভাবেই দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন রাঙামাটির লংগদু উপজেলার আটারকছড়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের মানুষ।

পারাপারে ভোগান্তির শেষ নেই। ক্ষেতখামারে উৎপাদিত ফসল এবং রোগী পরিবহন করা যায় না সময়মতো। নির্বাচনের সময় সবাই পাকা সেতুর প্রতিশ্রুতি দিলেও নির্বাচনের পরে তা ভুলে যায় বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

বাঁশের সাকো পার হতে গিয়ে নিচে পড়ে সম্প্রতি মারা যায় ২ শিশু। কিন্তু তাতেও এখানে একটি সেতু নির্মাণে উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সেতু না থাকায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন পার্শ্ববর্তী করল্ল্যাছড়ি বাজারের ব্যবসায়ীরাও। তবে স্থানীয় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও নেতাদের আশা জনদুর্ভোগ লাঘবে কর্তৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ নেবে।

লংগদু উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল বারেক সরকার চলতি বছরেই সেতু নির্মাণ কাজ শুরুর আশ্বাস দিলেন। তবে আর প্রতিশ্রুতি নয়, এবার এর বাস্তবায়ন দেখতে চায় দুর্গম এই এলাকার মানুষ।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply