অনলাইনে বিত্তশালী কিডনি রোগী এবং কিডনি ডোনার সংগ্রহ করতে ‘বাংলাদেশ কিডনি ও লিভার পেশেন্ট চিকিৎসা সেবা’ নামের ২টি পেজের এডমিন শাহরিয়ার ইমরান। এই ইমরান ও তার সহযোগীরা কয়েক বছর ধরে কিডনি রোগী ও ডোনারদের ভারতে নিয়ে গিয়ে কিডনি প্রতিস্থাপনের কাজটি করে আসছিলেন।
তবে জয়পুরহাটের এক ভুক্তভোগীর মামলায় ফেঁসে গেছে চক্রটি। প্রতিশ্রুত টাকা না দেয়ায় ইমরানসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে, চুক্তি অনুযায়ী টাকা না দেয়ার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এ পর্যন্ত শতাধিক মানুষের সাথে প্রতারণা করেছে তারা।
মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
তবে জয়পুরহাটের এক ভুক্তভোগীর মামলায় ফেঁসে গেছে চক্রটি। প্রতিশ্রুত টাকা না দেয়ায় ইমরানসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে, চুক্তি অনুযায়ী টাকা না দেয়ার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
র্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, যারা কিডনি ডোনেট করতো তাদেরকে ৩-৪ লাখ টাকা দেয়ার আশ্বাস দেয়া হতো। এরপর কিডনি নেয়ার আগে তাদেরকে ২ লাখ টাকা দিলেও নেয়ার পর আর টাকা দেয়া হতো না। নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা না দেয়ায় অনেক ভুক্তভোগী থানায় মামলাও করেছেন।
[ ভিডিও প্রতিবেদনটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন ]
একইসাথে কিডনি রোগে আক্রান্ত রোগীদের সেবার আড়ালে তারা কিডনি কেনা বেচার কাজটি করে আসছিল বলে জানায় র্যাবের এই কর্মকর্তা।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন আরও জানান, আমরা এমন ভুক্তভোগীও পেয়েছি যাদেরকে কিডনি প্রতিস্থাপনের কথা বলে ভারতে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে কিডনি গ্রহীতার সাথে না মেলায় তাদের লিভারের ৭০ ভাগ কেটে রাখা হয়েছে।
চক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেফতার র্যাবের অভিযান চলমান বলেও জানিয়েছে র্যাব।
Leave a reply