রৌমারীতে বিএসএফের গুলিতে পঙ্গুর সংখ্যা বাড়ছেই

|

ছবি: সংগৃহীত

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় সীমান্ত দিয়ে মাদক পাচার ও চোরাচালান করতে গিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের ছোঁড়া গুলি ও ককটেলের আঘাতে অনেকেই আহত হচ্ছেন। অনেক নিরীহ লোকও হচ্ছেন হামলার শিকার। উন্নত চিকিৎসা করাতে না পেরে অনেকে বরণ করছেন স্থায়ী পঙ্গুত্ব।

বিএসএফের ছোঁড়া গুলিতে আহত হলেও টাকার অভাবে যথাযথ চিকিৎসা করাতে পারছে না বেশীরভাগই। ফলে স্থায়ী পঙ্গুত্ব বরণ করছেন অনেকে। কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র নদ দ্বারা বিচ্ছিন্ন রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের অনেক দরিদ্র পরিবারই এ অবস্থার শিকার। বিএসএফের ছোড়া গুলিতে দৃষ্টিশক্তিও হারিয়েছেন অনেকে। মাদক চোরাচালান ও চোরাকারবারি করতে গিয়েই গুলি খাচ্ছেন তারা। চোরাচালান ছাড়াও কখনো কখনো নিরীহ সীমান্তবাসীর ওপর হামলা চালায় বিএসএফ।

প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, নানা সচেতনতামূলক প্রচারের পরও সীমান্ত এলাকায় ঘোরাঘুরি কমছে না। মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন থাকার কারণে এ অঞ্চলে বাড়ছে অপরাধ। যা মাথায় রেখে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করার কথা ভাবছেন তারা।

কুড়িগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরান বলেন, আমরা যোগাযোগব্যবস্থা উন্নত করার চেষ্টা করছি। যোগাযোগব্যবস্থা উন্নত করতে পারলে অনেকটাই কমিয়ে আনা যাবে এই মাদক পাচার ও চোরাচালান।

স্থানীয়দের হিসেবে, শুধু রৌমারীর দাঁতভাঙা সীমান্তেই গেল কয়েক বছরে অন্তত ১০ জন গুলি বা ককটেলের স্প্লিন্টারে আহত হয়েছেন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply