ভারতের মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থা এনসিবি গত ২ অক্টোবর একটি বিলাশবহুল প্রমোদতরী থেকে গ্রেফতার করে শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খানকে। আরিয়ানের কাছে মাদক পাওয়া গেছে বলে অভিযোগ তোলা হয়। একই সাথে মাদক কেনা-বেচার চক্রের সাথেও জড়িত আরিয়ান, এমনটিই দাবি এনসিবির। প্রথম দিকে এ নিয়ে প্রশংসা পেলেও এবারে রীতিমতো হয়রানির শিকার হচ্ছে এই সংস্থা।
প্রায় দুই সপ্তাহ হতে চললো কারাবন্দি বলিউড বাদশাহ শাহরুখের ‘রাজপুত্র’ আরিয়ান। খাওয়া-নাওয়া ভুলে শাহরুখ ও গৌরি এখন কেবলই ছুটছেন ছেলের জামিনের জন্য। শোনা যাচ্ছে, আরিয়ানের মুক্তির জন্য মানতও করেছেন গৌরি। প্রথম দিকে ছেলে গ্রেফতার হওয়ার পর শাহরুখের ওপরই আঙুল উঠেছিল। ছেলেকে মানুষ করতে পারেননি শাহরুখ এমন মন্তব্য করতেও ছাড়েননি নেটিজেনরা। তবে এ ঘটনা যেনো এখন বুমেরাং হয়েছে এনসিবির জন্য।
মাদক নিয়ন্ত্রক এই সংস্থাকে এখন সরাসরি ধর্মবিদ্বেষী হিসেবে আখ্যা দেয়া হচ্ছে। অনেকের দাবি, কেবলমাত্র মুসলিম হওয়ায় এমন হয়রানির শিকার হচ্ছে আরিয়ান পুত্র। অনেকে আবার মনে করেন, তারকা হওয়ায় শাহরুখকে বেকায়দায় ফেলতে এমন ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। অন্যদিকে, নেটিজেনদের একাংশ বলছেন, আরিয়ানের মতো এমন একজন তারকাপুত্রকে গ্রেফতার করে সংস্থার নাম প্রচার করতে চায় এনসিবি।
বিষয়টি নিয়ে সরাসরি মুখ খুলেছেন একাধিক তারকাও। তাদের দাবি, ওই ক্রজে রেড দেয়ার সময় কোনও এনসিবির সদস্য ছিলেন না। দু’জন গ্রেফতার করে আরিয়ানকে। তাদের মধ্যে একজন বিজেপি সদস্য এবং অন্যজন প্রাইভেট ডিটেক্টিভ। এ নিয়ে এনসিবির পেশাদারিত্বের দিকেও আঙুল তুলছেন অনেকে।
তবে পরিস্থিতি যাই হোক, এনসিবি তার কাজ ও দায়িত্ব পালন করে যাবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে। সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কোনও ভাবেই এনসিবির কাজে ব্যাঘাত ঘটানো যাবে না। অপরাধ ও মাদক দমনে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে।
Leave a reply