নজিরবিহীন ধর্মঘটের মুখে হলিউড। বেশ কিছুদিন যাবত স্বাস্থ্য পরিকল্পনা তহবিল, পেনশন পরিকল্পনা, বিশ্রামের সময়, সংক্ষিপ্ত কর্মদিবসের দাবি জানিয়ে আসছিল হলিউডের চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইউনিয়ন সদস্যরা। কিন্তু তা বাস্তবায়িত না হওয়ায় ডাকা হয় ধর্মঘট।
কর্মীদের সব দাবি-দাওয়া যদি মেনে না হয় তবে সোমবার (১৮ অক্টোবর) থেকেই বন্ধ হয়ে যেতে পারে চলচ্চিত্র ও টিভি জগতের সবচেয়ে বড় প্রাণকেন্দ্র। প্রায় ৬০ হাজার আইএটিএসই সদস্য যদি কাজ থামিয়ে দেয়, তাহলে হলিউড তো বটেই টেলিভিশনও চলার উপায় থাকবে না।
ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করা একজন বলেছেন, হলিউডের প্রধান সমস্যা হলো বেতনের অসমতা। কাজের জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়েও ডাক্তার দেখাতে পারিনি।
আরেকজন বলেন, প্রায়ই আমাকে গভীর রাতে কাজ করতে হয়। কখনো ১৮ ঘণ্টারও বেশি পার হয়ে যায়। এর মাঝে বিশ্রামের সময়ও পাওয়া যায় না।
কলাকুশলী-টেকনিশিয়ানদের মধ্যে সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন সিক্স হান্ড্রেড। যুক্তরাষ্ট্রের ৯ হাজার ৬০০ ক্যামেরা অপারেটর ও সিনেমাটোগ্রাফারের প্রতিনিধিত্ব করে ইউনিয়নটি। তারা যদি ধর্মঘট করে তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো শুটিং সেটে ক্যামেরা ধরার মানুষ থাকবে না।
এ অবস্থা বেশিদিন চলতে থাকলে বিগ বাজেটের মুভিগুলোর শ্যুটিং পিছিয়ে যেতে পারে। ফলে অপেক্ষার পালা দীর্ঘ হতে পারে সিনেমাপ্রেমীদেরও।
২০১৮ সালে পুরো বিশ্ব কাঁপিয়ে দিয়েছিল হলিউডের ‘মি টু’ আন্দোলন। কিন্তু ৩ বছরে ঠিক কতটা বদলেছে হলিউড? ১৪ বছর আগে সবশেষ লেখকদের ধর্মঘটের পর হলিউডে সবচেয়ে বড় ধর্মঘটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে এবার।
Leave a reply