সার্বজনীন দুর্গাপূজার দশমীর দিনে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী জেএম সেন হল পূজা মণ্ডপে হামলার ঘটনায় ৮৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবারের এই হামলার ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় আরও চার থেকে পাঁচশ অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি থানার ওসি নেজাম উদ্দিন।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা হামলার সাথে জড়িত দাবি করে ওসি নেজাম উদ্দিন যমুনা নিউজকে জানিয়েছেন, সিসি ক্যামেরাসহ বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ ও স্থিরচিত্র দেখে এদের শনাক্ত করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের কোনো ধরনের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে কিনা এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক মন্তব্য করতে চাননি তিনি।
ওসি নেজাম উদ্দিন জানান, আমরা এ বিষয়টি নিয়ে গুরুত্বসহকারে কাজ করছি। সময়মতো সকল আপডেট জানানো হবে।
কুমিল্লায় কুরআন অবমাননার কথিত অভিযোগের প্রতিবাদে শুক্রবার একদল মুসল্লি নামাজ শেষে সমাবেশ করে। সেখান থেকে তারা চলে যাওয়ার সময় কিছু লোক জেএম সেন হলের সামনের ব্যানার ছেঁড়া শুরু ও ভাঙচুরের চেষ্টা চালায়। এ সময় পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্য, স্থানীয় বাসিন্দা ও মুসল্লিদের একাংশ তাদের প্রতিহত করে। অ্যাকশনে যায় পুলিশ। বাধার মুখে সেখান থেকে পালিয়ে যায় বিশৃঙ্খলাকারীরা।
এ ঘটনার প্রতিবাদে জেএমসেন সংলগ্ন মূল সড়কে অবস্থান গ্রহণ করে পূজার্থী ও বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। নিরাপত্তা না পাওয়া পর্যন্ত প্রতিমা বিসর্জন না দেওয়ার ঘোষণা দেয় পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারা। ঘটনাস্থলে যান নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এরপর পূজা উদযাপন পরিষদের দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ ও ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারাদের সাথে জে এম সেন হলের কাছে জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ কার্যালয়ে কয়েক দফা বৈঠকের করেন তারা। পরে বিশেষ নিরাপত্তায় কর্ণফুলী নদী ও আশেপাশের বিভিন্ন পুকুরে প্রতিমা বিসর্জন সম্পন্ন করা হয়।
Leave a reply