সাম্পদোরিয়ায় খেলতে গিয়ে সতীর্থ ও বন্ধু ম্যাক্সি লোপেজের স্ত্রী ওয়ান্ডা নারাকে ভাগিয়ে নিয়ে যান আর্জেন্টিনার তারকা স্ট্রাইকার মাউরো ইকার্দি। ২০১৩ সালে বিবাহবিচ্ছেদ হয় ম্যাক্সি ও নারার। পরের বছর মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ওয়ান্ডা নারাকে বিয়ে করেন ইকার্দি। ওই ঘটনার জন্য এখনো কথা শুনতে হয় ইকার্দিকে। কিন্তু যার জন্য বন্ধুকে ধোঁকা দিলেন সেই নারাই এবার ভাঙতে চাইছে সংসার। খবর স্পোর্ট বাইবেলের।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট করেন নারা। যেখানে লিখেন, আরও একটি সংসার নষ্ট করছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো বলছে, ওই পোস্টটি ইকার্দিকে কেন্দ্র করেই করা হয়েছে। এছাড়াও ইন্সটাগ্রামে স্বামী ইকার্দিকে ‘আনফলো’ করে দিয়েছে নারা। আগের পোস্ট করা নিজেদের ছবিগুলোও মুছে ফেলেছেন অ্যাকাউন্ট থেকে।
ইতোমধ্যে ভক্তরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে, ইকার্দির পুরো শরীরজুড়েই নারা ও তার সন্তানদের ছবি ও নাম ট্যাটু করেছেন, বিচ্ছেদ পর সেগুলোর কী হবে?
পেশায় মডেল নারা তিন সন্তানের জননী। বয়সে ইকার্দির চেয়ে ৫ বছরের বড়। ভালোবাসার টানে স্বামী-সন্তান ছেড়ে ইকার্দির সাথে ঘর বাধেন নারা। ইকার্দির এমন কাণ্ডে ক্ষেপেছিলেন স্বদেশী কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনাও। ম্যারাডোনা বলেছিলেন, যে ফুটবলার বন্ধুর বউকে ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করে তাকে কখনও জাতীয় দলে নেয়া উচিত নয়।
২০০৮ সালে মডেল ওয়ান্ডা নারাকে বিয়ে করেন লোপেজ। ২০১২-১৩ মৌসুমে লোপেজের দল সাম্পদোরিয়াতে যোগ দেন ইকার্দি। এর পর একই দেশ হওয়ায় বন্ধুত্ব হয় দুজনের। সেখান থেকেই বন্ধুর স্ত্রী নারার সঙ্গে সখ্য বাড়ে ইকার্দির। এর পর একে অপরের প্রেমে পড়েন।
Leave a reply