নোয়াখালী প্রতিনিধি:
কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন শরীফ আবমাননার কথিত অভিযোগের জের ধরে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ, মন্দির ও পূজা মণ্ডপে হামলার ঘটনায় মোট ১৮টি মামলা হয়েছে। এ মামলাগুলোতে এজাহারভুক্ত আসামি রয়েছে মোট ২৮৫ জন। এছাড়া অজ্ঞাত পরিচয়ে আসামি রয়েছে আরো ৪ থেকে ৫ হাজার।
মামলা সংক্রান্ত তথ্য নিশ্চিত করে নোয়াখালী পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম জানান, এ মামলাগুলোতে এখন পর্যন্ত ৯০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দায়ের করা মামলার মধ্যে ১০টির বাদী পুলিশ। বাকি ৬টি মামলার বাদী ক্ষতিগ্রস্তরা।
উল্লেখ্য, কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন শরিফ অবমাননার প্রতিবাদে নোয়াখালীর প্রধান বাণিজ্য কেন্দ্র বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনীতে গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিভিন্ন এলাকার মসজিদ থেকে শত শত মুসল্লি চৌমুহনী শহরের কাছারি বাড়ির মসজিদ এলাকার মূল সড়কে জড়ো হন। এরপর বিশাল মিছিল বের করা হয়। একপর্যায়ে মিছিল থেকে শহরের প্রধান সড়কের উত্তর পাশের শ্রীকৃষ্ণ মিষ্টান্ন ভাণ্ডার, রামকৃষ্ণ মিষ্টান্ন ভাণ্ডারসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের দোকানের সাইনবোর্ড দেখে দেখে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়।
মিছিলকারীরা শহরের কলেজ রোডে ঢুকে আশপাশের দোকানে এবং রামঠাকুর আশ্রম, রাধা মাধব জিওর মন্দির, ইসকন মন্দিরসহ বেশকিছু মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুর চালান। এসময় অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে। এছাড়া হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি-ঘর লক্ষ্য করে প্রচুর ইটপাটকেল ছোঁড়া হয়। এ ঘটনায় চৌমুহনী ইসকন মন্দিরে থাকা যতন সাহা (৪২) অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় রাবেয়া প্রাইভেট হাসপাতালে নিলে ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
Leave a reply