ঠাকুরগাঁওয়ে টানা কয়েকদিনের বৃষ্টি আর দমকা বাতাসে হেলে পড়েছে ধানের ক্ষেত। বাধ্য হয়ে কোনোরকমে ধান কেটে ঘরে তুলছেন কৃষকরা। করোনার থাবার পর আবার এমন লোকসানে কপালে ভাঁজ পড়েছে চাষীদের। তাদের অভিযোগ, কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা ধরনের সাহায্য দেয়ার আশ্বাস দিলেও এমন পরিস্থিতিতে তাদের কোনো সহায়তা পাওয়া যায়নি।
এসময়ে এমন বৈরী আবহাওয়ায় দিশেহারা ঠাকুরগাওঁয়ের চাষিরা। তারা বলছেন, করোনার ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে আবাদে নেমেছিলেন। কিছুদিন পরই ধান ঘরে তোলার প্রস্তুতি ছিলো। কিন্তু এখন ফসলহানির শঙ্কা দেখা দেয়ার ঋণ পরিশোধ নিয়ে আছেন দুশ্চিন্তায়।
দুর্যোগে অনেকে আধাপাকা ধান কাটতে শুরু করেছেন, কেউ কেউ চেষ্টা করছেন ফসল রক্ষার। চাষীদের অভিযোগ, এমন দুর্দিনে পাশে নেই কৃষিবিভাগ। এমনকি মিলছে না তাদের পরামর্শও।
তবে ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে প্রণোদনার পাশাপাশি সবধরনের সহায়তা করার আশ্বাস দিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মো. আবু হোসেন।
কৃষি অধিদফতরের তথ্যে, ঠাকুরগাঁওয়ে এবার ১ লাখ ৩৭ হাজার ৩১৫ হেক্টর জমিতে আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে অন্তত ৬ হাজার ১৮০ হেক্টর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে।
Leave a reply