শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে বরাবরই ব্যাট যেন আরও চওড়া মুশফিকুর রহিমের। রোববারও খেলছেন সেভাবেই। বাউন্ডারি হাঁকানোর আগেই ওভার বাউন্ডারি পেয়েছেন দুটো। স্লগ সুইপে হাসারাঙ্গাকে এবং লেগ সাইডে বিনুরা ফার্নান্দোকে আছড়ে ফেলেছেন গ্যালারিতে। ওদিকে দারুণ ফর্ম অব্যাহত ছিল নাঈমের। তিনি তুলে নিয়েছেন দারুণ এক ফিফটি।
লঙ্কানদের বিপক্ষে মুশফিকের রেকর্ড বরাবরই সমীহ জাগানিয়া। লঙ্কানদের সামনে পেলে রান করার সুযোগ হাতছাড়া করতে চান না মিস্টার ডিপেন্ডেবল; বিশ্বকাপের মূল্য পর্বের প্রথম ম্যাচের আগ পর্যন্ত টি-টোয়েন্টিতে লঙ্কানদের বিপক্ষে ১৪৮ স্ট্রাইক রেটে ২৩৯ রানই বলে দেয় তাদের বিপক্ষে কতটা স্বাচ্ছন্দ্যে থাকেন মুশি। আজও খেলছেন দারুণ। তার উইলোবাজিতে মনে হচ্ছিল না বেশ কিছুদিন ধরেই রানের মধ্যে নেই তিনি। দুর্দান্ত ফুটওয়ার্কে একের পর স্লগ সুইপে হাসারাঙ্গাদের বিরুদ্ধে জারি রেখেছিলেন মাস্টারি। ৩২ বলে অর্ধশতক তুলে নিয়ে স্কয়ারে যে বাউন্ডারিটি হাঁকিয়েছেন সেটি যেনই বলে দিচ্ছে বল ব্যাটে এলে কতটা আত্মবিশ্বাসী তিনি। তবে বারবারও স্কুপ করতে গিয়ে ব্যর্থ হচ্ছিল তিনি। চামিরার করা ইনিংসের শেষ বলে সেটিও করে দেখালেন দারুণভাবে। ৫ চার ও ২ ছয়ে ৩৭ বলে ৫৭ রানের ক্যামিও দিয়ে ম্যাচ উইনিং সংগ্রহে বড় অবদানই রাখলেন মুশফিক।
অন্যদিকে, ৬ চারের সাহায্যে ৫২ বলে ৬২ রান নিয়ে বাংলাদেশের ইনিংসের গোড়াপত্তনটা ভালোভাবেই করে দিয়ে ছিলেন নাঈম শেখ। মাঝেমধ্যে তার ব্যাট হয়ে উঠছে খাপখোলা তরবারি। এছাড়া স্ট্রাইক রোটেটও করছেন দারুণভাবে। এ দু’জনের বড় ইনিংসের সাথে লিটন, মাহমুদউল্লাহ, সাকিবদের ছোট ছোট ইনিংসগুলোতেই ম্যাচ জয়ের প্রাথমিক রসদ পেয়ে গেছে বাংলাদেশ। ৪ উইকেট হারিয়ে করেছে ১৭১ রান। বহুদিন ধরে সমালোচিত হচ্ছিল যে ব্যাটিং সেটি দিয়েই লঙ্কানদের বিপক্ষে প্রাথমিক বাজিমাত করেছে টাইগাররা। এখন বোলাররা স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারলেই হয়।
Leave a reply