তাকে গ্রেফতার করা হতে পারে। এমনই আশঙ্কা করে আদালতের দ্বারস্থ হলেন শাহরুখ-পুত্র আরিয়ান খানকে গ্রেফতারের নেপথ্যে থাকা অন্যতম কর্তা সমীর ওয়াংখেড়ে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
খবরে বলা হয়, মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থা (এনসিবি)-র এই কর্তাকে নিয়ে বেশ কিছু দিন থেকেই বিতর্ক দানা বেঁধেছে। অভিযোগ উঠেছে, অর্থের বিনিময়ে শাহরুখ-পুত্রের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য জোগাড়ের চেষ্টা করেছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে অচেনা ব্যক্তিরা আইনি পদক্ষেপ করার পরিকল্পনা করছেন। এমন আশঙ্কায় সুরক্ষা চাইতে গত রোববার মুম্বাই পুলিশ কমিশনরের কাছে গিয়েছিলেন সমীর।
মাদক মামলার বিশেষ আদালতে বিচারককে সমীর বলেন, ‘আমার পরিবার, বোন, এমনকি আমার মৃত মাকে নিশানা করা হচ্ছে। যে কোনো ধরনের তল্লাশির জন্য আমি রাজি। ১৫ বছর ধরে কাজ করছি। কিন্তু আমার ব্যক্তিগত জীবন আর কাজ নিয়ে এমন অভিযোগ কখনও ওঠেনি।’
আরিয়ান খানের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য সমীর ওয়াংখেড়ে-র তরফ থেকে তাকে ঘুষ দেয়া হচ্ছে রোববার এমনই দাবি করেছিলেন এই মামলার অন্যতম সাক্ষী প্রভাকর সেইল। তিনি জানিয়েছেন, প্রমোদতরীতে তল্লাশি চালানোর দিন এনসিবি তাকে দিয়ে ১০ পাতার একটি ফাঁকা পঞ্চনামা স্বাক্ষর করিয়ে নিয়েছিল। আরিয়ানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যের বিনিময়ে বিপুল পরিমাণ টাকার প্রস্তাব এসেছিল সমীরের পক্ষ থেকে।
আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গোসাভি-ই সেই ব্যক্তি, যিনি এনসিবি’র হেফাজতে আরিয়ানের সঙ্গে সেলফি তুলেছিলেন। তিনি দফতরেরই কেউ কিনা, তা নিয়ে বিতর্ক বাধলে এনসিবি অস্বীকার করে। বরং কিরণকে এই মামলার অন্যতম সাক্ষী হিসেবে তুলে ধরা হয়। ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে কিরণ। তার মধ্যেই রোববার আরও একটি ভিডিও ফাঁস হয়েছে, যাতে এনসিবি-র হেফাজতে নিজের ফোন থেকে আরিয়ানকে কারও সঙ্গে কথা বলাচ্ছেন গোসাভি।
উল্লেখ্য, গত ২ অক্টোবর একটি প্রমোদতরী থেকে আটক করা হয় আরিয়ানকে। তার বিরুদ্ধে মাদক সেবন ও কেনা-বেচার সংক্রান্ত মামলা দায়ের করে এনসিবি। সেই মামলায় গত ২০ দিনেরও বেশি সময় ধরে মুম্বাইয়ের একটি কারাগারে বন্দি আছেন ‘বাদশাহ’ পুত্র। কয়েক দফা জামিন বাতিল হয়েছে তার। তবে এখনও হাল ছাড়েননি শাহরুখ।
ইউএইচ/
Leave a reply