করোনার পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার পর সেপ্টেম্বর থেকেই ফের পর্যটকদের আনাগোনা শুরু হয়েছে সুন্দরবনে। অপরূপ ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের জোয়ার ভাটা, বনের সুন্দরী গাছ, বিখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগার, মায়াবী চিত্রা হরিণ আর বিচিত্ররূপের এ বনকে দেখতে পর্যটকরা প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছেন। তারই মধ্যে স্থানীয় পর্যটনকে আরো আকর্ষণীয় করতে উদ্যোগী হয়েছে প্রশাসন।
পশ্চিম সুন্দরবনে পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে সুন্দরবনের শেষ প্রান্তে মান্দারবাড়িয়া সমুদ্র সৈকতে নতুন আরো একটি ইকোট্যুরিজম সেন্টারের কার্যক্রম শুরু করেছে পশ্চিম বন বিভাগ। এই কেন্দ্রটি চালু হলে সাতক্ষীরা হয়ে একইসাথে সুন্দরবন ও সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণের সুযোগ পাবে পর্যটকরা। বনবিভাগের এই উদ্যোগের ফলে স্থানীয় পর্যটন-সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা লোকসান কাটিয়ে ওঠার স্বপ্ন দেখছেন।
পর্যটকবৃদ্ধির সাথে সাথে নিরাপত্তার যেন কোনো ঘাটতি না হয়, সে লক্ষ্যেও নেয়া হচ্ছে ব্যবস্থা। সাতক্ষীরার বুড়িগোয়ালিনী ফরেস্ট স্টেশনের কর্মকর্তা এস এম সুলতান জানিয়েছেন, টুরিস্ট স্পটগুলোতে আগত দেশি-বিদেশি পর্যটকদের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সম্প্রতি সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জে চালু করা হয়েছে টুরিস্ট পুলিশের কার্যক্রম।
সুন্দরবনের মোট আয়তন ৬ হাজার ১৭ বর্গ কিলোমিটার। এর মধ্যে সাতক্ষীরা রেঞ্জের আয়তন ১ হাজার ৪৪৫ বর্গ কিলোমিটার। বর্তমানে সাতক্ষীরা হয়ে শুধুমাত্র কলাগাছিয়া ও দোবেকি ইকোট্যুরিজম কেন্দ্রে ভ্রমণের সুযোগ রয়েছে।
Leave a reply