প্রথমে চলতি আসরের সর্বোচ্চ রানের পর চলতি আসরের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয় পেলো আফগানিস্তান। স্কটল্যান্ডকে ১৩০ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফগানিস্তান দেখিয়ে দিলো, যেকোনো দলের জন্যই তারা সাক্ষাৎ হুমকির কাজ করবে। আর কেবল রশিদ খানই নয়, মুজিব উর রাহমানের বোলিংকেও যথেষ্ট সমীহ করে খেলতে হবে বাকিদের।
আফগানিস্তানের দেয়া ১৯১ রানের বিশাল টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ততোধিক বড় বিপর্যয়ে পড়ে স্কটল্যান্ড। শুরুর ৬ ওভারের মধ্যে ৬ উইকেট হারিয়ে স্কটিশরা একরকম ছিটকে গেছে ম্যাচ থেকেই। আর ১০.২ ওভারে মাত্র ৬০ রানে অল আউট হয় স্কটল্যান্ড
জর্জ মান্সি ও অধিনায়ক কাইল কোয়েটজারের ওপেনিং জুটি দেখে মনে হওয়াই স্বাভাবিক যে, এক জমাট ম্যাচ দেখতে যাচ্ছে ক্রিকেট বিশ্ব। ৩ ওভারে ২৮ রান তুলে রিকোয়ার্ড রান রেটের সমান্তরালের যাচ্ছিল মান্সি-কোয়েটজাররা। কিন্তু চতুর্থ ওভারেই আসন্ন সেই উত্তেজনায় পানি ঢেলে দেন আফগান অফস্পিনার মুজিব উর রাহমান। ওভারের দ্বিতীয় বলেই কোয়েটজারকে বোল্ড করে শুরু মুজিবের আধিপত্য। আর পরের বলেই ক্যালাম ম্যাকলয়েডকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে জাগান হ্যাটট্রিকের আশা। সেটা পূরণ হয়নি। তবে খুব যে ক্ষতি হয়েছে তার, তেমনও না। রিচি বেরিংটনের আয়ু মাত্র ৩ বলেই বেঁধে দেন মুজিব; সেই ওভারের শেষ বলে এলবিডব্লিউয়ে তৃতীয় উইকেট লাভ করেন এই অফস্পিনার।
নবাগত ব্যাটার ম্যাথু ক্রসও তার আগের ব্যাটারদের মতোই ফিরে গেছেন শূন্য। এবার উইকেট নিয়েছেন আফগান পেসার নাভিন উল হক। আর একমাত্র প্রতিরোধ সৃষ্টি করা জর্জ মান্সির উইকেটও নিয়েছেন মুজিব উর রাহমান। এরপর নিজের কোটা শেষ করার আগে মাইকেল লিস্ককে বোল্ড করে নিজের নামের পাশে ৫ উইকেট যুক্ত করেন এই অফস্পিনার।
মূল বোলার রশিদ খান আক্রমণে আসার আগেই হয়ে গেছে স্কটিশদের ব্যাটিংয়ের মেরুদণ্ড ভেঙে দেয়ার কাজ। তবে ২.২ ওভার বল করেছেন তিনি। আর তাতেই তুলে নিয়েছেন ৪ উইকেট। আফগান বোলারদের উইকেট নেয়ার প্রতিযোগিতায় নাকাল স্কটল্যান্ড বিন্দুমাত্র প্রতিরোধ গড়তে না পেরেই ১৩০ রানের বড় ব্যবধানে হেরে যায় ম্যাচ। এরমধ্যে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হারার তালিকায়ও ১৩ নম্বরে চলে এসেছে কাইল কোয়েটজারের দল।
Leave a reply