ভোলা প্রতিনিধি:
ভোলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা মনপুরায় এক গৃহবধূকে মধ্যরাতে নারীকণ্ঠে ডেকে তুলে পালাক্রমে ধর্ষণ করেছে পাঁচ যুবক। পরবর্তীতে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে প্রথমে মনপুরা হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে ভুক্তভোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) রাত ৩টায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি শিপনকে আটক করা হয়। তবে ঘটনার সাথে জড়িত অন্য ৪ আসামিকে পুলিশ এখনও ধরতে পারেনি। এর আগে সোমবার দিবাগত রাতে ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামি করে মনপুরা থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত রোববার রাতে দুই শিশুসন্তানকে নিয়ে ওই গৃহবধূ নিজ বাড়িতে ঘুমাচ্ছিলেন। রাত ১১টার দিকে নারীকণ্ঠে তার নাম ধরে একাধিকবার ডাক দেয়া হয়। পরে ঘরের দরজা খোলার সাথে সাথে শিপন ওরফে আলাউদ্দিন, বেল্লাল মেকার, হেলাল, ইউসুফ দালাল ও সেলিম মেকার ওই গৃহবধূর হাত, পা ও মুখ বেঁধে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
পরে রাত ১টায় স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে মনপুরা হাসপাতালে ভর্তি করে। সোমবার বিকেলে চিকিৎসাধীন থাকা ওই গৃহবধূর অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভোলা জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এদিকে ঘটনার দিন ওই গৃহবধূর স্বামী সাগরে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। ঘটনা শুনে সোমবার স্বামী বাড়িতে আসলে ওই রাতে বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামি করে মনপুরা থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী।
মনপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদ আহমেদ জানান, গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় ৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে। প্রধান আসামিকে আটক করা হয়েছে। অপর ৪ জনকে ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Leave a reply