মঙ্গলবার ডার্ক ওয়েবে অবৈধ পণ্য বেচাকেনার দায়ে বিশ্বজুড়ে ১৫০ জনকে গ্রেফতারের কথা জানিয়েছে ইউরোপের মহাদেশীয় পুলিশ সংস্থা ইউরোপোল। ডার্ক ওয়েবের ইতিহাসে সবচাইতে দীর্ঘ এই স্টিং অপারেশনটির নাম ছিল ‘অপারেশন ডার্কহান্টর’। বিটকয়েন ও নগদে বিপুল পরিমাণ ইউরোর পাশাপাশি এ অভিযানে উদ্ধানে হয়েছে মাদক ও অস্ত্রও।
এর আগে বছরের গোড়ার দিকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ডার্ক ওয়েব-মার্কেটপ্লেসে জার্মানিভিত্তিক পুলিশের একটি দল স্টিং অপারেশন চালিয়েছিল। সেখানে চুরি যাওয়া ক্রেডিট কার্ডের তথ্য, প্রতারণা সরঞ্জাম ও মাদক কেনাবেচা হতো। ‘অপারেশন ডার্কহান্টর’ মূলত সেই জার্মান-অভিযানেরই সাফল্যপ্রসূত।
নেদারল্যান্ডসের হেগে অবস্থিত ইউরোপোল সদরদপ্তর থেকে জানানো হয়, অপারেশনটি ছিল পৃথক পৃথক অনেকগুলো পরস্পরমুখী অভিযানের সমষ্টি। অস্ট্রেলিয়া, বুলগেরিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে চলে এসব অভিযান।
এর মধ্যে শুধু যুক্তরাষ্ট্র থেকেই গ্রেফতার হয়েছেন ৬৫ জন। অন্যদিকে জার্মানিতে ৪৭, যুক্তরাজ্যে ২৪ জনের পাশাপাশি ইতালিতে ও নেদারল্যান্ডসে গ্রেফতার হয়েছেন ৪ জন করে মোট ৮ জন। গ্রেফতারকৃতদেরকে ‘হাই-লেভেল টার্গেট’ বলে অভিহিত করেছে ইউরোপোল।
আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা প্রায় ২ কোটি ৬৭ লক্ষ ইউরো (প্রায় বাংলাদেশি ২৬৫ কোটি টাকা) নগদ ও বিটক্যেনে উদ্ধার করা হয়। সেইসঙ্গে উদ্ধার হয় ৪৫টি অস্ত্র ও ২৩৪ কিলোগ্রাম মাদক যার মধ্যে নেশাজাতীয় পিল ছিল ২৫০০০। এছাড়াও ইতালির পুলিশ ‘ডিপ-সি’ এবং ‘বার্লুসকোনি’ নামক দুইটি মার্কেটপ্লেস বন্ধ করে দিয়েছে।
এদিকে ডার্ক ওয়েবও যে নজরদারির বাইরে নয় এবং অবৈধ কাজ যে যেখানেই করুক না কেন, তার যে রেহাই নেই, সেই কড়া বার্তা দেয়াই আসলে এই অপারেশন ডার্কহান্টরের উদ্দেশ্য ছিল বলে জানিয়েছে ইউরোপোল।
Leave a reply