চার বছর আগ পর্যন্ত তিনি কখনই ক্রিকেটে বলে খেলেননি, এমনকি ক্লাব, কিংবা পেশাদার টুর্নামেন্ট খেলার অভিজ্ঞতাও ছিল না। কিন্তু এক বন্ধু ইচ্ছাতে অনেকটা রূপালি পর্দার নায়কের মতো এই অল্প সময়ে পাকিস্তান দলে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। মাতাচ্ছেন বিশ্বকাপ। বলছি পাকিস্তানের স্পিড স্টার হারিস রউফের কথা।
টেনিস বলে টেপ পেঁচিয়ে ক্রিকেট খেলেনি এমন লোক খুঁজে পাওয়া দায়। বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত সহ উপমহাদেশের প্রায় সব কিশোরই টেপ বলের ক্রিকেট খেলেছে কোন না কোন সময়। ২০১৭ সাল পর্যন্ত এমনই এক সাধারণ ক্রিকেটার ছিলেন হারিস রউফ। পড়াশোনার পাশাপাশি টেনিস বলে গতির ঝড় তোলায় বেশ সুনাম ছিল এই পাকিস্তানি পেসারের। বিশ্বকাপ মাতানো এই স্পিড স্টার চার বছর আগ পর্যন্ত কখনো ক্রিকেট বল হাতেই নেননি। খেলেননি কোনো ক্লাব কিংবা পেশাদার ক্রিকেটে।
এক বন্ধু অনেকটা জোর করে হারিস রউফকে ২০১৭ সালে নিয়ে যান পিএসএলের ক্লাব লাহোর কালান্দার্সের পেসার হান্ট প্রোগ্রামের ট্রায়ালে। যেখানে গতির ঝড় তুলে নির্বাচিত হন হারিস। দলটির কোচ আকিব জাভেদের পছন্দ হওয়ায় কালান্দার্সের একাডেমির হয়ে প্রশিক্ষণের জন্য হারিসকে পাঠানো হয় অস্ট্রেলিয়াতে।
সেখান থেকেই শুরু রাওয়ালপিন্ডির এই পেসারের উত্থান। পরের গল্পটা সিনেমার গল্পের মতো। লাহোর কালান্দার্স মুল দলে খেলার পাশাপাশি পরবর্তী দুই বছর বিগ ব্যাশ মাতিয়েছেন হারিস।
২০২০ সালের আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। ২৪ জানুয়ারি বাংলাদেশের বিপক্ষে লাহোরে পাকিস্তানের জার্সিতে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয় হারিস রউফের। ওই বছরেই ওয়ানডে অভিষেকও হয় তার। বিশ্বকাপের নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে এক উইকেট নিলেও মঙ্গলবার চার উইকেট নিয়ে নিউজিল্যান্ডকে একাই ধসিয়ে দেন হারিস রউফ।
তবে রউফের উত্থান কেবল শুরু বলছেন তার প্রিয় কোচ আকিব জাভেদ। ফিটনেস ধরে রাখতে পারলে শোয়েব আখতারের সর্বোচ্চ গতির রেকর্ডও ভাঙ্গার ক্ষমতা আছে হারিসের বিশ্বাস তার।
Leave a reply