তালেবানের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচার না করতে হুমকি দেয়া হচ্ছে আফগান সাংবাদিকদের

তালেবানের নির্যাতনের পর দুই আফগান সাংবাদিক নিয়ামাতুল্লাহ নাকদি(বামে), এবং তকি দারায়েবি(ডানে)। ছবি: সংগৃহীত

তালেবান ক্ষমতা দখলের পর গত দুই মাসে আফগানিস্তানের গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর অন্তত ৩০টি হামলা হয়েছে, এমন অভিযোগ দেশটির সংবাদকর্মীদের সবচেয়ে বড় সংগঠন, ন্যাশনাল জার্নালিস্ট ইউনিয়ন অফ আফগানিস্তানের। তালেবান সরকারের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচার না করতেও হুমকি দেয়া হয়েছে বেশিরভাগ সাংবাদিককে। এমনকি তালেবানের চাপের কারণে অন্তত দেড়শ গণমাধ্যম বন্ধ হয়ে গেছে বলেও জানানো হয়।

তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তাদের অন্যতম টার্গেটে পরিণত হন সেদেশের গণমাধ্যম কর্মীরা। চাপের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন অনেকেই। তবুও থেমে নেই নিপীড়ন। দেশটির সাংবাদিক সংগঠন ন্যাশনাল জার্নালিস্ট ইউনিয়নের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তালেবান ক্ষমতায় আসার পর গেলো ২ মাসে সাংবাদিকদের ওপর অন্তত ৩০টি হামলা হয়েছে। আর নতুন সরকারের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচার না করতে সাংবাদিকদের হরহামেশাই দেয়া হচ্ছে হুমকি।

আফগান ন্যাশনাল জার্নালিস্ট ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট মাসরুর লুতফি বলেন, যেসব সাংবাদিককে হুমকি দেয়া হয়েছে এদের ৪০ শতাংশকেই শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। আর বাকি ৪০ শতাংশকে দেয়া হয়েছে মৌখিক হুমকি। এসব হামলা-হুমকির ২০ শতাংশ হয়েছে কাবুলে, বাকিগুলো আফগানিস্তানের অন্যান্য এলাকায়।

এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে টেলিভিশন, রেডিও অনলাইন এবং প্রিন্টসহ ১৫০টি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান। কাজে যেতে পারছেন না এসব প্রতিষ্ঠানের নারী কর্মীরা।

মাসরুর লুতফি আরও বলেন, শরিয়াহ নীতির দোহাই দিয়ে কিছু প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আর তালেবান ক্ষমতা নেয়ার পর অর্থনৈতিক অবস্থা এতই খারাপ হয়েছে যে অনেক গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে এর মালিকপক্ষ। ফলে সব মিলিয়ে চাপের মুখে পড়েছি আমরা।

তবে এখনও অব্যাহত আছে টোলো নিউজসহ সরকারি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম। যদিও সেগুলো সবই পরিচালিত হচ্ছে তালেবান প্রবর্তিত নীতি অনুসারে।