কারো আসছে নোটিফিকেশন, কারো আসছে মেইল, কিংবা কারো মেসেঞ্জারে আসছে বন্ধুর পাঠানো মেসেজ- ফেসবুক প্রোটেক্ট অন না করলে বন্ধ হবে ফেসবুক।
ফেসবুক প্রোটেক্ট সুবিধাটি আসলে কী এবং কেন- এটি সম্পর্কে ধারণা না থাকায় অনেকেই চিন্তিত হয়ে পড়ছেন নিজের আইডিটির সুরক্ষা কিংবা ভবিষ্যত নিয়ে।
প্রথম কথাই হচ্ছে, কোনো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট কেন বন্ধ করা হবে, তার তালিকাতে মোটেই এই বলা নেই যে ‘ফেসবুক প্রোটেক্ট’ সচল না করলে ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হবে।
দ্বিতীয় কথা হলো, ‘ফেসবুক প্রোটেক্ট’ সুবিধাটিও আসলে সবার জন্য না। ঐটার জন্য লাগবে বিশেষ নোটিফিকেশন, যা না আসলে আপনি প্রোটেক্ট সচল করতে পারবেন না। আবার নোটিফিকেশন আসলেও আপনার বাড়তি কিছু করা নাও লাগতে পারে, যদি আপনার ফেসবুক আগে থেকেই ‘সুরক্ষিত’ থাকে!
ফেসবুক ওয়েবসাইটে এ সম্পর্কে বলা হয়েছে, নির্বাচনে প্রার্থী, তাঁদের প্রচারণা কর্মী এবং নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্টগুলোর বাড়তি নিরাপত্তা প্রয়োজন। নির্বাচনের সময় অ্যাকাউন্টগুলো বাড়তি ঝুঁকির মুখে থাকায় তাঁদের বাড়তি নিরাপত্তা দিতে ‘ফেসবুক প্রটেক্ট’ নামের কর্মসূচি চালু করা হয় এবং সেটা ঐচ্ছিক। নির্বাচনে প্রার্থী, তাঁদের প্রচারণা কর্মী এবং নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা ‘চাইলে’ তাঁদের অ্যাকাউন্ট এবং পেজে প্রটেক্ট নামের সুবিধাটি সচল করতে পারেন। বিশেষ করে হ্যাকিং থেকে সুরক্ষার জন্য সুবিধা কাজের।
এবার আসা যাক, প্রোটেক্ট ব্যাপারটির উদ্দেশ্যটা কী, কোত্থেকেই বা এলো। ফেসবুকের সাইট বলছে, এই ফিচারটি মূলত এসেছে নির্বাচনের ক্যাম্পেইন সংক্রান্ত কার্যাবলির সুবিধার্থে।
বাড়তি নিরাপত্তা দেয়ার লক্ষ্যে চালু হওয়া এই ফিচারটি একেবারে ঐচ্ছিক। একান্তই আপনার ইচ্ছা হলে অ্যাকাউন্ট বা পেজে এটি চালু করতে পারেন। তাতে হ্যাকিং থেকে একটু সুরক্ষা পেলেও পেতে পারেন।
প্রশ্ন হতে পারে, আমরা অনেকে কেন নোটিফিকেশন পেলাম যে ২৮ বা ৩০ অক্টোবরের মধ্যে ফেসবুক প্রোটেক্ট সচল না করলে সমস্যা হবে? বলে রাখা ভালো, ‘সমস্যা’ হবে বৈকি, তবে তাতে অ্যাকাউন্ট বন্ধ হবে না, বড়জোর প্রোটেক্ট সচল না করা পর্যন্ত অ্যাকাউন্ট লকড রাখা হবে।
সুবিধাটি যাঁদের জন্য, তাঁরা যদি সচল করেন, তবে ফেসবুক তাঁদের অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য নির্দেশনা দেবে।
এখন নোটিফিকেশনে সাড়া দিয়ে যদি সচল করেই ফেলেন ফেসবুক প্রোটেক্ট, তবে সেটি আপনার প্রাত্যহিক সিকিউরিটি গার্ডের মতো কাজ করবে। যেমন: টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন চালু হচ্ছে কিনা জানাবে, হ্যাকিংয়ের চেষ্টা হচ্ছে কিনা- তা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করবে ইত্যাদি।
আর যদি পেজের অ্যাডমিন হয়ে থাকেন, তবে পোস্ট পাবলিশ করার জন্য নতুন করে অনুমোদন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। শর্ত হলো- একটির বেশি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থাকা চলবে না, নিজের আসল নাম ব্যবহার করতে হবে, বর্তমান অবস্থানের দেশটি উল্লেখ করতে হবে এবং অতি-অবশ্যই টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন চালু করতে হবে।
তবে হ্যাঁ, নোটিফিকেশন না এলেও ঘাবড়াবার কিছু নেই। নিতান্তই ইচ্ছে হলে বাড়তি নিরাপত্তার জন্য সেটিংস থেকে সিকিউরিটি অ্যান্ড লগইনে গিয়ে টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন অপশন সচল করে নিতে পারেন।
Leave a reply