শাখার বাইরে ব্যাংকিং সেবা দেয়ায় এজেন্ট ব্যাংকিং দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠলেও এ খাতের ঋণ বিতরণের পরিমাণ খুবই কম। ফলে আমানত ও রেমিট্যান্স সংগ্রহের ওপর সামান্য কমিশন নিয়ে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা প্রদানে হিমশিম খাচ্ছেন উদ্যোক্তারা। আউটলেটে লেনদেনের পরিমাণ কম আর পাশাপাশি পরিচালনার খরচ কয়েকগুণ বেশি হওয়ায় এতে আগ্রহ হারাচ্ছেন এজেন্টরাও।
ইতোমধ্যে সেবা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন ঢাকা, টাঙ্গাইল, সিলেট, চাঁদপুরসহ শরীয়তপুরের অনেক এজেন্ট। আউটলেট স্থাপন করতে অন্তত ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা আর ভাড়া, কর্মীদের পারিশ্রমিক, বিদ্যুৎ বিলসহ আরও ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা প্রতি মাসে খরচ করেন তারা। কিন্তু সেবার বিপরীতে যে কমিশন পাচ্ছেন তার ওপরও নানা ধরনের ট্যাক্স-ভ্যাট আরোপ করছে ব্যাংক। ফলে এজেন্টদের প্রকৃত আয়ও কম।
বর্তমানে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে ২৮টি ব্যাংক। আগস্ট শেষে ব্যাংকগুলোর এজেন্ট দাঁড়ায় ১৩ হাজার ১৬০ জনে এবং আউটলেট ছিল ১৭ হাজার ৪৬৪টি। আমানতের পরিমাণ ছিল সাড়ে ২১ হাজার কোটি টাকা। বছরের ব্যবধানে আমানত বেড়েছে ৮০ শতাংশ।
Leave a reply