ছুটির দিন হওয়ায় শারজাহ স্টেডিয়ামে ছিল প্রবাসী সমর্থকদের ভীড়; জয়ের প্রত্যাশাতেই আমিরাতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জড়ো হয়েছিলেন তারা। কিন্তু দলের পরাজয়ে ফিরেছেন বিমুখ হয়ে। অল্পের জন্য ম্যাচ হাতছাড়া হওয়ার অতৃপ্তি ছিল তাদের চোখেমুখে।
মরুভুমির সব পথ যেন মিশেছে শারজার ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। তাই তো একখণ্ড মিরপুর নয়, এ যেন সত্যিকারের বাংলার হোম অফ ক্রিকেট। শুক্রবার ছুটি হওয়ায় জনসমুদ্রে ছিল কয়েক ঘণ্টা। লাল সবুজের পতাকা প্রবাসীদের শুধু হৃদয় নয়, ছিল বুক জুড়ে। মাঠের বাইরে এমন পাগলামিই বলে দেয় শারজা জুড়ে লাল সবুজের আবেগ। কিন্তু ম্যাচ শেষে এই আবেগই রূপ নিলো বিষাদে। জয়ের হাত ছোঁয়া দূরত্ব থেকে খালি হাতে ফিরতে ভালো লাগার কথা নয় কারোরই। দেশ থেকে সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার দূরে মাহমুদউল্লাহর দলের মাধ্যমেই যে এক টুকরো বাংলাদেশকে পেয়েছিল হাজারো প্রবাসী বাঙালি। ম্যাচ জুড়ে লড়াইয়ের পরও যখন দলের নাম থেকে যায় পরাজিতের কাতারে, তখন সেই হতাশা লুকিয়ে রাখা হয়ে পড়ে প্রচণ্ড কষ্টসাধ্য।
পরনে লাল-সবুজ জার্সি আর হৃদয়ে দেশের জন্য ভালোবাসা; প্রবাসী বাঙালিদের কাছে দেশের জয় যেমন মহিমান্বিত, তেমনি পরাজয়ের বিষাদও হয় অনেক কিছুর চেয়ে ভারী। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের চোখের পানি মোছা কিংবা তাসকিনের অশ্রু গড়িয়ে পড়াই ছিল সমর্থকদের আজকের অভিব্যক্তির বহিঃপ্রকাশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ৩ রানের পরাজয় তাই নিয়ে এসেছে অনেকের মতো শারজা স্টেডিয়ামে হাজির হওয়া কয়েক হাজার প্রবাসীর কাছে স্বপ্নভঙ্গের নীল বেদনা।
Leave a reply