স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ফেনী:
ফেনী শহরের ট্রাংক রােডে মসজিদ-মন্দিরের সামনে ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত এনামুল হক কাউছার (১৯) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার দিনগত (৩০ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত যুবকের গ্রামের ফবাড়ি সােনাগাজী উপজেলার মতিগঞ্জ ইউনিয়নের ভােয়াগ গ্রামে। নিহত কাউছার ওই এলাকার ব্যবসায়ী একরামুল হক সবুজের বড় ছেলে।
এর আগে, গত ১৬ অক্টোবর ফেনী কেন্দ্রীয় বড় মসজিদ ও জয়কালী মন্দিরের সামনে হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায় ও ছাত্রলীগ-যুবলীগের মধ্য দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। ওইদিন বিকাল ৪টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত চলমান সংঘর্ষে প্রায় অর্ধশত মানুষ আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ চার শতাধিক ফাঁকা গুলি ছোড়ে এসময় বিক্ষুদ্ধরাও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এই সংঘর্ষের মধ্যেই গুলিবিদ্ধ হয় কাউছার।
জানা গেছে, ঘটনার দিন দোকানের মালামাল কিনতে ফেনী এসেছিল কাউছার। এরপর বড় মসজিদের সামনে সংঘর্ষের মধ্যে আটকে যায় সে। এ সময় মাথা ও মুখে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয় এই যুবক।
নিহতের স্বজন ফরহাদ হোসেন জানান, আহত হওয়ার পর ফেনী শহরের বেসরকারি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে ছিল কাউছার। তবে বৃহস্পতিবার রাত থেকে অবস্থার অবনতি হতে থাকলে শুক্রবার ভাের ৫টার দিকে ঢাকায় নেয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার।
এ বিষয়ে সোনাগাজী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজেদুল ইসলাম পলাশ বলেন, আমরা ঘটনাটি শুনেছি, প্রকৃত কারণ জানার জন্য নিহত যুবকের ময়না তদন্ত করা হয়েছে সুরত হাল রিপোর্ট আসার পর বিস্তারিত জানা যাবে।
স্থানীয় মতিগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবিউজ্জামান বাবু বলেন, যুবকের মৃত্যুর কথা শুনেছি। বাদ জোহর এলাকায় তার নামাজে যানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরপর লাশ দাফন করা হবে।
Leave a reply