সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে স্বামী ও অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শনিবার (৩০ অক্টোবর) সকালে বেলকুচি থানায় মামলাটি দায়ের করেন নিহত গৌরাঙ্গের চাচাত ভাই কৃষ্ণ ঘোষ। মরদেহ দুটির ময়নাতদন্ত চলছে। হত্যার রহস্য উদঘাটনে মাঠে নেমেছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সিরাজগঞ্জের বেলকুচি পৌর এলাকার কামারপাড়া গ্রামে নিজ ঘরে স্বামী ও অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। পরে পুলিশ ওই দম্পতির রক্তাক্ত দুটি লাশ উদ্ধার করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১ বছর আগে কামারপাড়া গ্রামের দিজুগোপাল ঘোষের ছেলে গৌরাঙ্গ ঘোষের সাথে ঢাকার টঙ্গী এলাকার তপন ঘোষের মেয়ে তমা ঘােষের বিয়ে হয়। তবে মাঝে মাঝে নানা কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্য পারিবারিক দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। শুক্রবার সকালে নিজ ঘরে গৌরাঙ্গ ও তমার রক্তমাখা লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। রাতে দুজনের মৃত্যু হলেও কোনো চিৎকার বা সাড়া-শব্দ শোনা যায়নি বলে জানান প্রতিবেশীরা।
নিহত গৌরাঙ্গের ছোট ভাই আনন্দ ঘোষ জানান, তিনি পাশের ঘরে শুয়েছিলেন। পরে সকালে মায়ের চিৎকারে ঘুম থেকে উঠে দেখি দাদা ঝুলে আছে, আর বৌদি রক্তমাখা অবস্থায় মেঝেতে পড়ে আছে।
বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বলেন, শুক্রবার সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি গোপাল ঘোষের বাড়িতে তার ছেলে গৌরাঙ্গ ঘোষ (২৮) ও অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী তমা রাণী ঘোষের (১৯) রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়ে আছে ঘরের মেঝেতে। লাশ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে। সুরাতহাল ও ময়না তদেন্তর পর বিস্তারিত জানা যাবে বলে জানান তিনি।
সিরাজগঞ্জ বেলকুচি সার্কেল সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সিদ্দিক আহম্মেদ বলেন, মৃত্যুটি আমাদের কাছে রহস্যজনক মনে হচ্ছে। মৃত্যুর বিষয়টি উৎঘাটন করতে পুলিশ, সিআইডি ও পিবিআই যৌথভাবে কাজ করছে। প্রাথমিকভাবে তমার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন না পাওয়া গেলেও তার গলাতে স্পষ্ট দাগ রয়েছে। ধারণা করা যাচ্ছে তমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। আর গৌরাঙ্গর দুই হাতের কব্জিতে রগ কাটা রয়েছে এবং গলার উপর থুতনির নিচে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার দেহটি ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। ময়নাতদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
Leave a reply