ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার দুর্দান্ত হ্যাটট্রিকও যথেষ্ট হলো না শ্রীলঙ্কার জয়ের জন্য। শেষ ওভারে স্টেডিয়াম ছাড়া করা দুই ছয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ম্যাচ জেতানো মিলার দ্য কিলারই হলেন ম্যাচের নায়ক। এক বল বাকি থাকতে লাহিরু কুমারার বলে উইকেটের পেছনে চার মেরে ৪ উকেটের জয় নিশ্চিত করেন কাগিসো রাবাদা।
১৪৩ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দুশ্মন্ত চামিরার জোড়া আঘাতে দুই ওপেনারকে হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। তারপর র্যাসি ভ্যান দার ডুসেনও ফিরে যান দলীয় ৪৯ রানে। এরপর এইডেন মার্করামকে নিয়ে জয়ের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন টেম্বা বাভুমা। কিন্তু অতর্কিতে ম্যাচের রঙ বদলে যায় ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার ঘূর্ণিতে। ১৫-তম ওভারের শেষ বলে মার্করামকে আউট করার পর ১৮-তম ওভারে বোলিংয়ে এসে প্রথম দুই বলেই টেম্বা বাভুমা ও প্রিটোরিয়াসকে ফিরিয়ে দিয়ে কেবল হ্যাটট্রিক পূর্ণ করাই নয়, ম্যাচে শ্রীলঙ্কার জয়ের সম্ভাবনাই বাড়িয়ে দেন হাসারাঙ্গা।
এক পর্যায়ে ৮ বলে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়োজন ছিল ২২ রান। চামিরাকে ছয় মেরে রান-বলের সমীকরণকে আয়ত্তের মধ্যে কিছুটা নিয়ে আসেন রাবাদা। শেষ ওভারে প্রোটিয়াদের জয়ের জন্য দরকার ছিল ১৫ রান। বল করতে আসেন লাহিরু কুমারা। রাবাদা সিঙ্গেল নিয়ে স্ট্রাইক দেন মিলারকে। কুমারার গুড লেংথের বল সপাটে ব্যাট চালিয়ে পাঠিয়ে দেন স্টেডিয়ামের বাইরে। পরের বলে কুমারা দেন হাফ ভলি। খুনে মেজাজে থাকা মিলার এবারও একই পরিণতি দান করেন বলটিকে। এবারও বিশাল ছক্কায় বল চলে যায় মাঠের বাইরে। চতুর্থ বলে তাইমিং মিস করে মিলার সিঙ্গেল নিয়ে স্ট্রাইক দেন রাবাদাকে। ২ বলে লাগবে ১ রান, এই অবস্থায় মিসটাইমিং করলেন রাবাদা। কিন্তু বল তার ব্যাটের কান্য লেগে উইকেটরক্ষকের পাশ দিয়ে চলে যায় সীমানার বাইরে। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে মিলার-রাবাদার দৃঢ়তায় জয় তুলে নিলো চোকার্স অপবাদের জন্য কুখ্যাত প্রোটিয়ারা।
এর আগে, পাথুম নিশাঙ্কার ৭২ রানের ইনিংসের উপর ভর করে সব কটি উইকেট হারিয়ে ১৪২ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা। শামসি ও প্রিটোরিয়াস নেন ৩টি করে উইকেট।
Leave a reply