নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতের পরাজয়ে ভীষণ হতাশ এবং ক্ষুব্ধ ভারতীয় দর্শকেরা। তারা প্রায় সবাই ভারতের এই দুর্বল পারফরমেন্সের জন্য দায়ী করছেন আইপিএল এবং বিসিসিআইকে। দর্শকে ঠাসা স্টেডিয়াম খালি করে ম্যাচ শেষ হবার আগেই বেরিয়ে যায় অসংখ্য দর্শক। এসময় যমুনা টিভির কাছে অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে একজন বললেন, বিসিসিআই এবং আইপিএল, তোমরা থামো। তোমাদের মনে রাখা উচিত যে, তোমরা ঈশ্বর নও।
একজন দর্শক বলেন, এই পরাজয় থেকে অনেক কিছুই শেখার আছে। বিসিসিআই অনেক বেশি উদ্ধত আচরণ করছিল। আমি বলতে চাই, মনে রাখা উচিত যে, আইপিএলে খেলাটাই নয় বরং লক্ষ্য হওয়া উচিত দেশের হয়ে খেলা। বিসিসিআই পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী বোর্ড হতে পারে, কিন্তু মাঠে খেলায় প্রমাণ করতে হয় যে দেশকে সবার আগে রেখে খেলে যাওয়াটাই হওয়া উচিত খেলোয়াড়দের মূল মন্ত্র।
একজন বলেন, ম্যাচটি প্রচণ্ড বিরক্তিকর ছিল। ভারতীয় খেলোয়াড়দের শরীরী ভাষায়ও মনে হয়েছে তারা তাদের প্রতিভা অনুযায়ী খেলছে না। আমার মনে হয়, আইপিএলকেই বেশি গুরুত্ব দেয়াতেই এমনটা ঘটেছে। সেখানে খেলে ক্রিকেটাররা ক্লান্ত।
এক সমর্থক তো বেশ ক্ষুব্ধ। তিনি দাবি জানিয়েছেন, ২-১ বছরের জন্য ভারতীয় দলকে নির্বাসনে পাঠানো উচিত।
টিম সিলেকশন এবং ব্যাটিং অর্ডার নিয়েও এসেছে অনেক কথা। তিন নম্বরেই ব্যাট করা উচিত ছিল ভিরাট কোহলির, এমনটা বলছেন অনেকেই। তার সাথে ভিরাটকে সরিয়ে রোহিত শর্মাকে অধিনায়কত্ব দেয়া উচিত, এমনও মতও এসেছে একাধিক কণ্ঠে।
একজন সমর্থক তার হতাশা ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, এতো দূর থেকে অফিস বাদ দিয়ে এসেছি কি এসব দেখার জন্য! সবাই বুঝতে পারছে যে, আইপিএল খেলে সবাই ক্লান্ত। ভিরাটকে দেখেও ক্লান্ত মনে হয়েছে। তারা কমার্শিয়াল বিভিন্ন কর্মকাণ্ড এবং আইপিএল নিয়ে এতোটাই ব্যস্ত থাকে যে আমি বুঝি না কীভাবে জাতীয় দলে তাদের নেয়া হয়!
সমর্থকেরা বিরক্ত, হতাশ ও ক্ষুব্ধ। কয়েকজন যদিও ভারতকে এমন বাজে অবস্থার মাঝেও সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন। তবে একটা সুর অভিন্ন, সবাই চায় পরিবর্তন। সেটা বোর্ডের আচরণ, পরিকল্পনা, আইপিএলের সময়সূচি বা অধিনায়কত্ব- আতশ কাঁচের নিচে আসতে পারে খন যেকোনো কিছুই।
Leave a reply