রাজশাহী ব্যুরো:
একটি সেলফিই কাল হলো কলেজ শিক্ষার্থী মৃন্ময়’র জীবনে। পদ্মা নদীতে ঘুরতে যেয়ে সেলফি তোলার সময় পানিতে পড়ে নিখোঁজ রয়েছে সে। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা রোববার দুপুর থেকে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছেন।
নিখোঁজ ওই শিক্ষার্থীর নাম আসিফ আল মাসুদ ওরফে মৃন্ময়। মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। সে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদার মহসীন আলীর ছেলে।
পুলিশের ভাষ্যমতে, আজ রোববার মৃন্ময়, তার সহপাঠী আরাফাত হোসেন, মঞ্জুরুল করিম, খাদিজা খাতুন, আনিকা ও সাদিয়া তাসনিম কলেজ শেষে বেড়াতে বের হয়। তারা নগরীর টিবাঁধ থেকে নৌকা ভাড়া নিয়ে গিয়েছিলো পদ্মা নদীর ওপারের চরে। সেখানে গোসল সেরে ফেরার অপেক্ষা। হঠাৎই সেলফি তোলার ইচ্ছে হয় মৃন্ময়’র। নৌকার কিনারে গিয়ে ছবি তোলার সময় পা ফসকে পড়ে যায় পানিতে। বাঁচাতে একই নৌকায় থাকা তার দুই বন্ধু আরাফাত হোসেন, মঞ্জুরুল করিম পানিতে ঝাঁপ দেয়। কিন্তু তিনজনের কেউই উঠতে পারছিল না নৌকায়। একজন উঠে তো, আরেকজন ডুবে। এমন অবস্থা দেখে মাঝি রকিও ঝাঁপ দেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি মৃন্ময়’র। পানিতে তলিয়ে যায় সে। খবর পেয়ে উদ্ধার অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিস।
রাজশাহী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর লিডার নুর নবী জানান, নদীতে স্রোত রয়েছে। তলদেশ কোথাও উচু আবার কোথাও নিচু। বালুর পরিমাণও বেশি। এ কারণে উদ্ধারকাজে বেগ পেতে হচ্ছে। মৃন্ময়’র সন্ধান না পাওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ওই নৌকায় লাইফ জ্যাকেট বা এরকম কোনো জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম থাকলে দুর্ঘটনা এড়ানো যেত।
রাজশাহী পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার শামসুল আজম বলেন, নৌকায় কী ঘটেছিলো জানার জন্য মতিহার থানায় এনে পাঁচ শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাদের মুচলেকা নিয়ে অভিভাবকদের জিম্মায় দেয়া হবে।
রাজশাহী নিউ মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এর অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান বলেন, এমন অনাকাঙ্খিত ঘটনা রোধে মাঝিদের সচেতন ও নৌকায় জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম রাখা বাধ্যতামুলক করা প্রয়োজন। তা না হলে এমন ঘটনা বন্ধ হবে না।
Leave a reply