পরিবর্তনশীল জলবায়ুর বিপরীতে কৃষি ক্ষেত্রে প্রয়োজন অভিযোজন কৌশল: ইফাদ

|

ছবি: সংগৃহীত।

গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে অর্থনৈতিক অবনতি থেকে রক্ষা করতে নীতিনির্ধারকদের অবশ্যই জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে আরও সহনশীল হতে হবে এবং এ সংক্রান্ত সমস্যাগুলোকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। তবে সময়ের সাথে সাথে অনেক সফল অভিযোজন কৌশল তৈরি করেছে কৃষকরা। সোমবার (১ নভেম্বর) জাতিসংঘের কৃষি উন্নয়ন তহবিলে (ইফাদ) প্রকাশিত একটি নতুন প্রতিবেদন এ বিষয়টি উঠে এসেছে।

“এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে জলবায়ু সহনশীলতা তৈরি” শীর্ষক এই প্রতিবেদনটিতে ইফাদের সহায়তায় এডাপটেশন ফর সমালহোল্ডার এগ্রিকালচারাল প্রোগ্র্যাম (এসাপ)- এর মূল ফলাফলের ওপর পর্যালোচনা করা হয়েছে। ২০১২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত চলমান এসাপ কর্মসূচিটি গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর উপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং তা প্রশমন করতে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে গ্রামীণ উন্নয়ন প্রকল্পগুলিতে ৩০৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে।

প্রতিবেদনটি গ্রামীণ জনগণের জীবন ও জীবিকার উপর জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব, অভিযোজন এবং প্রশমনে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর সহায়তায় ইফাদের বহুমুখী, কার্যকরী এবং উদ্ভাবনী পদ্ধতিগুলো তুলে ধরা হয়েছে।

বলে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে। একই সাথে এই ধরনের জ্ঞান ব্যবহার করার জন্য আমাদের দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে বলে মন্তব্য করেন ইফাদের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের আঞ্চলিক জলবায়ু ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞ কিসা এমফালিলা।

বুধবার (৩ নভেম্বর) বুধবার বিকেলে জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন কপ-২৬ এ ইফাদ প্যাভিলিয়নে একটি লাইভ ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। এই ভার্চুয়াল ফিল্ড ট্রিপে বাংলাদেশের ক্ষুদ্র কৃষকরা জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে কী পদক্ষেপ নিচ্ছে তা তুলে ধরা হবে একটি তথ্যচিত্রের মাধ্যমে। তথ্যচিত্রটির নির্মাতা কাসা আলমের সাথে দর্শকরা বাংলাদেশে ভার্চুয়াল ভ্রমণের মাধ্যমে ইফাদ প্রকল্পে অংশগ্রহণকারী কৃষকদের জলবায়ু সম্পর্কিত প্রতিবন্ধকতা এবং গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর অভিযোজন কৌশল নিয়ে আলোচনা করবেন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply