আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে এলো ভারতের প্রথম জয়

|

ছবি: সংগৃহীত

প্রথম দুই ম্যাচ হেরে সেমিফাইনালের আশা টিকে আছে কেবল কাগজে-কলমে। বাকি তিনটি ম্যাচ ভারতকে জিততে হবে বড় ব্যবধানে আর কামনা করতে হবে অনেকগুলো সমীকরণ যেন যায় তাদের পক্ষে। আর এমন অবস্থায়ই চলতি বিশ্বকাপে ভারতের জয় এলো আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে, সেটাও ৬৬ রানের বড় ব্যবধানে। প্রথমে ব্যাট করে রোহিত শর্মা, লোকেশ রাহুলদের দারুণ ব্যাটিংয়ে ২ উইকেট হারিয়ে ২১০ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে ভারত। জবাবে ২০ ওভারে উইকেট হারিয়ে আফগানিস্তান সংগ্রহ করতে পেরেছে ১৪৪ রান।

রানের লক্ষ্যটা অনেক বড়, এই বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ রানই আফগানদের করতে হবে ম্যাচ জিততে। রয়েসয়ে খেলার সুযোগ তাই ছিল না একদমই। মারকুটে ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদ ফিরে যান রানের খাতা খোলার আগেই। মোহাম্মদ শামির জন্য চলতি আসরে ক্ষণিকের সুবাতাস বইয়ে দেয় এই উইকেটটি। অন্যদিকে জাসপ্রিত বুমরা তুলে নেন হযরতুল্লাহ জাজাইয়ের উইকেট। ১৩ রানেই দুই ওপেনারের বিদায়ে আড়ষ্ট না হয়ে পাল্টা আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেন গুলবাদিন নায়িব ও নাজিবুল্লাহ জাদরান। মোহাম্মদ শামির সুখকে আক্ষরিক অর্থেই ক্ষণিকের বানিয়ে তার ওভারে ২১ রান তোলেন দুই ব্যাটার।

তবে রবীন্দ্র জাদেজাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অনে হার্দিক পান্ডিয়ার চমৎকার ক্যাচে সাজঘরে ফেরেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ। আর গুলবাদিন নায়িবকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন চার বছর পর সাদা বলের ক্রিকেটে ফেরা রবীচন্দ্রন অশ্বিন। প্রত্যাবর্তনকে স্মরণীয় করতে গিয়ে নাজিব জাদরানকেও বোল্ড করেন এই অভিজ্ঞ অফস্পিনার। তবে এরপর প্রতিরোধ গড়েন মোহাম্মদ নবী ও করিম জানাত। এই দুইজনের ৫৫ রানের জুটিতে জয়ের ব্যবধান কমলেও হার এড়ানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না। এই জুটি ভাঙ্গে দলীয় ১২৬ রানের মাথায় শামির বলে নবী ফিরে গেলে। প্রথম বলে এসে ফিরে যান রশিদ খানও। তবে ২১ বলে ৩৬ রান করে অপরাজিত থাকেন করিম জানাত। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রান তুলতে সক্ষম হয় আফগানিস্তান।

এর আগে, ব্যাট করতে নেমে চলতি বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো দুইশো রানের দলীয় সংগ্রহ তোলে ভারত। আফগানদের দেয়া ব্যাট করার আমন্ত্রণ পেয়ে পুরো বোলিং ইউনিটকে তুলোধুনো করে ২০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ২১০ রানের পর্বতসম সংগ্রহ গড়েছে বিরাট কোহলির দল। উদ্বোধনী জুটিতেই আসে ১৪০ রান। করিম জানাতের বলে এক্সট্রা কাভারে মোহাম্মদ নবীর হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হওয়ার আগে রোহিত শর্মা চালান ৪৭ বলে ৭৪ রানের তাণ্ডব। তারপর গুলবাদিন নায়িবের বলে স্কুপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন রাহুল। তার সংগ্রহ ৪৮ বলে ৬৯ রান।

কিন্তু ঝড় তখন থেমেছে কেবল সাময়িকভাবে। রিশাভ পান্ত ও হার্দিক পান্ডিয়ার ২১ বলের জুটিতে যে উঠেছে ৬৩ রান! ৪টি চার ও ২টি ছয়ের সাহায্যে হার্দিক করেছেন ১৩ বলে ৩৫ রান! অন্যদিকে রিশাভ পান্তের ১টি বাউন্ডারি ও ৩টি ওভার বাউন্ডারিতে করা ১৩ বলে ২৭ রানের আরেক ছোটখাটো টর্নেডোতে ভারতের রান গিয়ে ঠেকে ২১০ এ!


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply