হাসপাতালটিতে শিশুদের চিকিৎসা করা হয় আলমারির ওপর শুইয়ে

|

ফিটফাট এই হাসপাতালটির ভেতরের এমন দশা বাইরে থেকে দেখে কল্পনাও করা যায় না।

না আছে জনবল, না আছে পরীক্ষা নিরিক্ষার যন্ত্রপাতি। নানা সংকটে জর্জরিত ঝিনাইদহ ২৫ শয্যার বিশেষায়িত শিশু হাসপাতাল। প্রতিষ্ঠার ১৫ বছর পর চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি হাসপাতালের উদ্বোধন হয়। কিন্তু খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে কোমলমতি শিশুদের সেবাদানের এই ভরসাস্থল।

ঠাণ্ডাজনিত রোগ নিয়ে ঝিনাইদহের ২৫ শয্যার বিশেষায়িত এই শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয় আফিফা। শয্যা সংকটের কারণে হাসপাতালের ভাঙা আলমারির ওপর শিশুদের শুইয়ে চলছে সেবাদান। অভিভাবকরা শঙ্কায় আছেন, কখন ওই আলমারির ওপর থেকে পড়ে গিয়ে আবার আরেক দুর্ঘটনা ঘটে! অথচ বাইরে থেকে দেখে বোঝার উপায় নেই হাসপাতালের এমন করুণ দশা।

প্রতিষ্ঠার ১৫ বছর পর চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি হাসপাতালের উদ্বোধন হয়। তারপর থেকেই যন্ত্রপাতি আর জনবল সংকট তীব্র। অধিকাংশ পদই শূন্য। ৫টি পদের মধ্যে একজন মাত্র চিকিৎসকের নিয়োগ স্থায়ী। এতে ব্যহত হচ্ছে সেবা কার্যক্রম। নার্স ইনচার্জ মুক্তি দেবনাথ জানালেন, বেড না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে ১৫টি আলমারির ওপর শুইয়ে শিশুদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আর ইচ্ছা থাকলেও পূর্ণাঙ্গ সেবা দিতে পারছেন না তারা।

হাসপাতালটিতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়তে হয় শিশুদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা নিয়ে। হাসপাতালে যন্ত্রপাতি না থাকায় অসুস্থ শিশুদের নিয়ে ছুটতে হয় দূর দূরান্তে, গুনতে হচ্ছে বাড়তি খরচ। কনসালটেন্ট আলী হাসান ফরিদও স্বীকার করলেন রোগীদের এমন ভোগান্তির কথা।

প্রয়োজনীয় চাহিদাপত্র যথাস্থেনে পাঠানো হয়েছে বলে জানালেন সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগম। দ্রুতই সমস্যা সমাধান সম্ভব হবে বলে আশ্বস্তও করলেন তিনি।

২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হাসপাতালটির বহির্বিভাগে প্রতিদিন সেবা নিচ্ছে অন্তত দেড়শ শিশু। ভর্তি থাকছে ৪০ থেকে ৫০ জন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply