স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, কিশোরগঞ্জ:
মাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে ছিল ১৬ দিনের নবজাতক আয়ান। তখন বাজে দুপুর ১২টা। এর ঠিক আধাঘণ্টা পরে এসে তার দাদি দেখেন মা শাকিলার পাশে আয়ান নেই। পরে ঘর-সংলগ্ন শৌচাগারের বালতিতে মৃত অবস্থায় আয়ানকে উদ্ধার করেন স্বজনরা।
শুক্রবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে মায়ের কোল থেকে ছিনিয়ে নিয়ে শৌচাগারে বালতির পানিতে ডুবিয়ে নবজাতক হত্যার এ ঘটনা ঘটেছে কিশোরগঞ্জের ভৈরব পৌর শহরের কালীপুর মধ্যপাড়ায়।
এলাকার কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সাকিলার দিন কাটে আয়ানের দেখাশোনা করে। দুপুর ১২টার দিকে আয়ান ঘুমিয়ে পড়ে। তখন আয়ানকে জড়িয়ে ধরে সাকিলাও ঘুমিয়ে যান। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আয়ানের দাদি রান্নাঘর থেকে এসে দেখতে পান সাকিলার পাশে আয়ান নেই। সাকিলাকে জাগান শামসুন্নাহার বেগম। দুজনই চিৎকার শুরু করেন। তাদের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসেন এবং আয়ানের সন্ধান করতে থাকেন। একপর্যায়ে শৌচাগারে গিয়ে দেখতে পাওয়া যায় বালতির পানিতে আয়ানকে ডুবিয়ে রাখা হয়েছে।
আয়ানের দাদি শামসুন্নাহার বলেন, আমার চোখের আড়াল হওয়ার সর্বোচ্চ আধা ঘণ্টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে। তবে কে বা কারা এবং কী কারণে নবজাতকের সঙ্গে এমন হিংস্র আচরণ করলো, এর কিছুই ধারণা করতে পারছেন না শামসুন্নাহার। বাবা ইদ্রিস মিয়ারও একই ভাষ্য।
হাসপাতালটির জরুরি বিভাগের চিকিৎসক স্বপ্না রানী দত্ত বলেন, আমরা নবজাতকটিকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। পানিতে ডুবে থাকার কারণে মৃত্যু হয়েছে। নবজাতকটির অস্বাভাবিক মৃত্যু হওয়ার কারণে আমরা বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছি। পরে পুলিশ এসে মৃত নবজাতকটিকে নিয়ে যায়।
নবজাতক হত্যার খবর জেনে হাসপাতালে আসেন ভৈরব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তরিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, নবজাতকের মৃত্যুটি অস্বাভাবিক ও রহস্যজনক। এই কারণে ময়নাতদন্ত করা হবে।
ইউএইচ/
Leave a reply