নিজ বাড়িতে ইচ্ছাকৃত মশা উৎপাদন! শুনতে অবাক লাগলেও, স্বেচ্ছায় এ কাজ করছেন ইন্দোনেশিয়ার যোগাকর্তা শহরের বাসিন্দারা। মূলত এডিস মশার বিস্তাররোধে উলবাচিয়া ব্যাকটেরিয়াবাহী এক প্রকার মশা উৎপাদন করছেন তারা। প্রাথমিক গবেষণায় সফলতা মেলার পর ওয়ার্ল্ড মসকুইটো প্রোগ্রামের তত্ত্বাবধানে চলছে এ কার্যক্রম।
পানিতে ভাসছে লার্ভা। কয়েকদিনের মধ্যেই পাবে পূর্ণাঙ্গ মশার রূপ। ইন্দোনেশিয়ার যোগাকর্তা শহরের অনেক বাড়িতে রীতিমতো আয়োজন করে চলছে মশা উৎপাদনের তোড়জোড়।
বিষয়টা অনেকটা বিষে বিষক্ষয়ের মতোই। মূলত উলবাচিয়া ব্যাকটেরিয়াবাহী এক প্রকার ভালো মশার উৎপাদন করছেন গবেষকরা। লক্ষ্য, এই মশার বিস্তারের মাধ্যমে ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এডিস মশার ভয়াবহতা কমানো।
ওয়ার্ল্ড মসকুইটো প্রোগ্রামের প্রধান গবেষক বলেন, আমরা মূলত ভালো মশার বংশবৃদ্ধি করাচ্ছি। এই মশার সাথে এডিসের মিলনে নতুন যে মশার জন্ম হবে, তাতে জীবাণু থাকবে না। যদিও মশার সংখ্যা বাড়বে, কিন্তু সেগুলোর কামড়ে মানুষের ক্ষতি হবে না।
মশার মাধ্যমেই হবে ডেঙ্গু প্রতিরোধের এ প্রকল্পটি চালাচ্ছে ওয়ার্ল্ড মসকুইটো প্রোগ্রাম। সেচ্ছাসেবী হিসেবে যাতে যুক্ত হয়েছেন, যোগাকর্তা শহরের বাসিন্দারা।
২০১৭ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়ার মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয় ও ইন্দোনেশিয়ার গাদজাহ মাদা বিশ্ববিদ্যালয় ডেঙ্গু প্রতিরোধে যৌথ এই গবেষণা শুরু করে। ইন্দোনেশিয়ায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি, এমন এলাকাগুলোতে পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হচ্ছে প্রকল্পটি।
গবেষকরা বলছেন, কেবল ডেঙ্গু নয়, জিকা, ইয়েলো ফিভারের মতো মশাবাহিত অনেক রোগ কমাতে সহায়তা করবে এ প্রকল্প। তাদের দাবি, এতে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কমবে ৭৭ শতাংশ।
Leave a reply