দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে ও গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে সারা দেশের অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট। বন্ধ রয়েছে বাস-ট্রাক-কাভার্ডভ্যান চলাচল। অনির্দিষ্টকালের জন্য ঘোষিত এই ধর্মঘট কবে নাগাদ শেষ হবে, তা বলতে পারছেন না কেউই। সরকারের পক্ষ থেকেও পরিবহন মালিকদের সাথে কোনোরকম আলোচনার কথাও শোনা যায়নি।
যদিও ধর্মঘট তুলে নিতে পরিবহন মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। কিন্তু পরিবহন মালিক সমিতি বলছে, আলোচনা ছাড়া ধর্মঘট প্রত্যাহার করবে না তারা।
ধর্মঘটের কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়া মানুষের প্রশ্ন, তাহলে কি চলতেই থাকবে এই ধর্মঘট? গতকালের মতো আজও চাকরির পরীক্ষা থাকায় জনভোগান্তির মাত্রা বেড়েছে কয়েকগুণ। পরিবহনের জন্য পরীক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষকে গুনতে হচ্ছে ক্ষেত্রবিশেষে ১০ থেকে ২০ গুণ বেশি ভাড়া।
গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজে ভর্তি পরীক্ষাসহ বেশ কয়েকটি চাকরির পরীক্ষার মধ্যেই গণপরিবহন বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। এর ফলে চাকরি ও ভর্তি প্রার্থীরা চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছে। এছাড়া কর্মজীবী মানুষের নিয়মিত যাত্রায়ও ব্যাঘাত ঘটেছে।
গতকাল শুক্রবার থাকায় অফিসগামী লোকজনের চাপ কম থাকলেও আজ শনিবার বেসরকারি অফিস আদালত খোলা, তার ওপর আবার চাকরির পরীক্ষা থাকায় ভোগন্তির মাত্রা আরও কয়েকগুণ বাড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন সাধারণ যাত্রীরা।
অবশ্য সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, আগামী রোববার বিআরটিএর ভাড়া পুনঃনির্ধারণ কমিটির বৈঠক হবে, তাতে ধর্মঘটকারীদের কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। মূলত এই ঘোষণার ফলে ধর্মঘটের ঘোষণায় কোনো প্রভাবই পড়েনি।
অন্যদিকে, গতকাল লঞ্চভাড়া শতভাগ বাড়িয়ে দ্বিগুণ করার দাবি তুলেছে লঞ্চ মালিক সমিতি। তারা বলেছে, রোববারের মধ্যে ভাড়া সমন্বয় না করা হলে অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a reply