ঐতিহাসিক পম্পেই নগরীর মাটি খুড়ে একটি বাড়ি পাওয়া গেছে। ইতালির প্রত্নতাত্ত্বিকরা জানিয়েছেন, এমন ৩টি রুম পাওয়া গেছে সেখানে, পাওয়া গেছে বেশকিছু আসবাবপত্রও। ধারণা করা হচ্ছে, ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাতরর চাপা পড়ে বাড়িটি। একসময় বাড়িটিতে শিশুসহ একটি পরিবার বাস করতো।
পৃথিবীর প্রাচীনতম অভিজাত জনপদগুলোর একটি ছিলো এই পম্পেই নগরী। যা ৭৯ খ্রিষ্টাব্দে ভয়াবহ আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে ধ্বংস হয়ে যায়।
দুই হাজার বছর আগে ধ্বংস হওয়া প্রাচীন রোমান শহরটি এখন বিশ্বের দ্বিতীয় প্রত্নত্তাত্ত্বিক অঞ্চল। স্বীকৃতি পেয়েছে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবেও। ইতিহাস আর ঐতিহ্যের সন্ধানে এখনও গবেষণা চলছে নগরটি ঘিরে। পম্পেই প্রত্নত্তাত্ত্বিক উদ্যানের পরিচালক গ্যাবরিয়েল জুচিত্রিগেল জানালেন, সিভিটা গুইলিয়ানায় কয়েকটি কক্ষের সন্ধান পেয়েছেন তারা। এগুলো দেখে মনে হচ্ছে মালামাল রাখা এবং শোবার ঘর ছিল। তিনটি কক্ষের মধ্যে দুইটা বড় এবং একটা ছোট। এই প্রত্নতাত্ত্বিকের ধারণা, ছোট ঘরটিতে বাচ্চারা থাকতো।
গবেষণা আর ইতিহাসের তথ্য সংগ্রহের জন্য প্রত্নত্তত্ত্ববিদের এই আবিষ্কারকে অনন্য বলে মনে করছে ইতালি সরকার। এই আবিষ্কারের মাধ্যমে ধ্বংস হয়ে যাওয়া পম্পেই নগরী সম্পর্কে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেরিয়ে আসবে বলেও প্রত্যাশা তাদের।
ইতালির সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী দারিও ফ্রান্সেসচিনি বলছেন, পম্পেই নিয়ে এটি অবশ্যই অন্যতম আবিষ্কার। জায়গাটি শুধু পর্যটকদের কাছেই জনপ্রিয় নয়, একই সাথে গবেষকদের জন্যও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এ নিয়ে গবেষণা অব্যহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
ইতিহাস বলছে, ৭৯ খ্রিষ্টাব্দে হঠাৎই সক্রিয় হয়ে ওঠে মাউন্ট ভিসুভিয়াসের আগ্নেয়গিরি। টানা ১৯ ঘণ্টা পর্যন্ত চলে ভয়াবহ লাভা উদগীরণ। ফলে পম্পেই ও হেরকুলেনিয়াম শহর দুটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায়। মুহূর্তেই জীবন্ত কবরে পরিণত হয় গোটা নগরী।
Leave a reply