পিরোজপুর প্রতিনিধি:
পিরোজপুরের পাড়েরহাট ইউনিয়নে নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পরপরই হামলা হয়েছে আবাসন পল্লীতে। মুজিবর্ষ উপলক্ষে দেয়া আবাসনে এসব ঘরে বাস করতো এক ইউপি সদস্যের সমর্থকরা। ওই ইউপি সদস্যের প্রতিপক্ষ প্রার্থী নির্বাচনে জয়লাভ করার পরই হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয় অনেকগুলো ঘর ও ঘরের আসবাবপত্র। হামলার ভয়ে আবাসন ছেড়েছে বেশিরভাগ পুরুষ। এছাড়া পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে মিঠু ফকির নামে এক সমর্থককে।
জানা যায়, পিরোজপুরের পাড়েরহাট ইউনিয়নে ৫নং ওয়ার্ডে বৃহস্পতিবার রাতে নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার পরপরই বিজয়ী ইউপি সদস্য মো. আবুল কালাম ফরাজির লোকজন আবাসনে হামলা চালায়। আবাসনের মধ্যে থাকা মুজিববর্ষ উপলক্ষে দেয়া ঘরে পরাজিত ইউপি সদস্য মো. মহসিন হাওলাদার থাকতো। এখানে অনেকেই তার সমর্থক। একারণেই কালাম ফরাজির লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে ঘর ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ মহসিনের সমর্থকদের। হামলার ভয়ে পুরুষরা ঘর ছেড়ে পালিয়েছে বলে জানায় নারীরা।
হামলার সময় ঘরে তেমন কোনো পুরুষ না থাকায় হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে শুক্রবার সন্ধ্যায় আবাসনের কাছেই কালাম ফরাজির বিজয় মিছিল থেকে মিঠু ফকির নামে মহসিনের এক সমর্থকের ওপর হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে। মিঠুকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেছে। হামলার এ ঘটনার পরে আতংকে অনেকেই আবাসনের ঘরে তালা দিয়ে অন্যত্র অবস্থান করছে।
মহসিনের সমর্থকদের ঘরে বা আবাসনে হামলার ঘটনাকে মিথ্যা বলছে কালাম ফরাজি। আর মিঠু ফকিরই তার সমর্থকদের ওপর হামলা চালায় বলে দাবি করেছেন তিনি।
মুজিবশতবর্ষের ঘরে হামলার বিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগ আসেনি বলে জানান ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। তবে বিজয়ী ইউপি সদস্যের লোকজন পরাজিত প্রার্থীর এক সমর্থককে মারধর করেছে এবং আহত সমর্থককে পুলিশই হাসপাতালে নিয়ে গেছে বলে জানান তিনি। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে আটকের চেষ্টা চলছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
ইউএইচ/
Leave a reply