গাইবান্ধায় বিজয়ী ইউপি সদস্যকে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত আরিফের বাড়িতে আবারও আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধরা। হত্যার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে সমর্থকরা। পুলিশ বলছে, পূর্বশত্রুতার জেরেই এই হত্যাকাণ্ড। ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে তারা। এছাড়া, রংপুরে নির্বাচনী সহিংসতায় মারা গেছেন একজন। নরসিংদী-পিরোজপুরেও হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
অভিযুক্ত পরাজিত প্রার্থীর সমর্থক, আরিফ ও তার চাচার বাড়িতে দুই দফা দেয়া হয় আগুন। পুড়ে যায় বেশ কয়েকটি ঘর। নবনির্বাচিত ইউপি সদস্যকে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে লক্ষ্মীপুর বাজার এলাকায় অবস্থান নেয় আন্দোলনকারীরা। সড়কে গাছের গুঁড়ি আর টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে চলে বিক্ষোভ। এসমত অভিযুক্তের সহযোগী সন্দেহে একজনকে মারধর করা হয় বলে জানা গেছে। সাথে চলে ভাঙচুর আর বাসা-বাড়িতে করা হয় অগ্নিসংযোগ।
জনপ্রতিনিধির পাশাপাশি শিক্ষক ছিলেন আব্দুর রউফ। ময়নাতদন্ত শেষে কর্মস্থলে নেয়া হয় মরদেহ। শিক্ষক হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন করে শিক্ষার্থীরাও।
এর আগে, গত শুক্রবার (১২ নভেম্বর) রাতে লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচিত ইউপি সদস্য আব্দুর রউফের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। তাকে পিটিয়ে হত্যা করার খবর ছড়িয়ে পড়লে আরিফ নামে অভিযুক্তের বাড়িতে আগুন দেয় রউফের ক্ষুব্ধ সমর্থকরা।
গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আব্দুর রউফ বলেন, গাইবান্ধা সদর থানার পক্ষ থেকে আমি কথা দিয়ে গেলাম আসামিদের গ্রেফতারের ব্যাপারে পুলিশ সর্বাত্মক চেষ্টা চালাবে।
এদিকে, নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা হয়েছে দেশের আরও কয়েকটি স্থানেও। রংপুরের পীরগাছায় বিজয়ী ও পরাজিত মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু হয়েছে। পিরোজপুর-নরসিংদীসহ কয়েকটি জায়গায় ঘটেছে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা। সংঘর্ষে আহত অনেকে।
Leave a reply