আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক প্রতিনিধি কাতার

|

সংগৃহীত

আফগানিস্তানে তালেবান সরকারের সাথে সম্পর্ক গঠন প্রক্রিয়া কিংবা কূটনৈতিক রূপরেখা কি হবে তা নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে পশ্চিমা দেশগুলো। তবে স্বীকৃতি না দিলেও এবার একটু ভিন্ন পথে এগিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক প্রতিনিধি হিসেবে কাতারের নাম ঘোষণা করেছে ওয়াশিংটন।

শুক্রবার (১২ নভেম্বর) দোহায় বৈঠকে বসেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেল ও কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল রহমান আল থানি। বৈঠকে এই সিদ্ধান্তে আসে দেশ দুটি।

ব্লিংকেন বলেন, এখন থেকে আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক প্রতিনিধিত্ব করবে কাতার। তাছাড়া ওয়াশিংটন ও আফগানিস্তানের মধ্যে আনুষ্ঠানিক যোগাযোগের সুবিধার্থে কাতারে ট্রানসিট পয়েন্ট খোলার বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। এরমধ্যে থাকবে পাসপোর্ট আবেদন-গ্রহণ, জরুরি সহায়তা ও তথ্য প্রদান। ৩১ ডিসেম্বর থেকে এই চুক্তি কার্যকর হবে।

কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কাতারের অবস্থান পরিষ্কার। যেকোনো আঞ্চলিক সংকটে আমরা সব সবময়ই মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত। যুদ্ধ-সংঘাতে হাজার হাজার মানুষ যখন মানবেতর জীবনযাপন করছেন, বিশ্ব শান্তি যখন হুমকির মুখে তখন নিজেরাই সংকট সমাধানে এগিয়ে আসবো।

আফগানিস্তানে চলমান অর্থনৈতিক সংকট আসন্ন শীতে দেশটির চরম মানবিক বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে। এই অবস্থায় পশ্চিমা দেশগুলো তালেবানের সাথে কী উপায়ে যুক্ত হওয়া যায় তা নিয়ে ভাবছে। মানবিক বিপর্যয় রোধে তালেবানের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করা জরুরি বলে এরইমধ্যে স্বীকার করেছে তারা।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply