সিজারে রাজি না হওয়ায় অন্তঃসত্ত্বাকে চড় মারলেন চিকিৎসক

|

ছবি: সংগৃহীত।

জোর করে সিজার করানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে এক ডাক্তারের বিরুদ্ধে। সিজার করে সন্তান প্রসবে রাজি না হওয়ায় অন্তঃসত্ত্বাকে চড় মারারও অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কার্যত রণক্ষেত্রের রূপ নেয় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল চত্বর।

সংবাদ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে জানা যায়, পানাগড় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা করাচ্ছিলেন ওই নারী। তবে শারীরিক অস্বস্তি বেড়ে যাওয়ায় শুক্রবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে তাকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ বিনীতা কুমারী তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে তাকে বাড়ি চলে যেতে বলেন। তবে ঝুঁকির আশঙ্কায় বাড়ি যেতে রাজি হননি অন্তঃসত্ত্বা এই মহিলা। এরপর সন্ধ্যায় হাসপাতাল সুপার ডা. ধীমান মণ্ডলের দ্বারস্থ হন তিনি। সুপার তাকে হাসপাতালেই থাকতে বলেন।

তবে অভিযোগ উঠেছে, শনিবার (১৩ নভেম্বর) সকালে চিকিৎসার নামে অন্তঃসত্ত্বাকে মারধর করেন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ বিনীতা কুমারী। কেন তিনি আগের দিন সন্ধ্যায় সুপারের কাছে গেলেন, সেই প্রশ্ন করেন চিকিৎসক। জোর করে বন্ডে সই করিয়ে অস্ত্রোপচার করতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ ওঠে। প্রতিবাদ করেন ওই নারী। এরপরই তাকে ওই চিকিৎসক চড় মারেন বলে অভিযোগ করেন প্রসূতি।

কাঁদতে কাঁদতে প্রসূতি ওয়ার্ড ছেড়ে ওই নারী হাসপাতাল সুপারের ঘরের সামনে চলে আসেন। রোগীর আত্মীয়- স্বজনও জড়ো হয়ে যান। তারা অভিযুক্ত চিকিৎসকের শাস্তি দাবি করেন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ। পুলিশের কাছেও ক্ষোভপ্রকাশ করতে থাকেন ওই নারীর স্বজনরা।

এদিকে বিনীতা কুমারী অন্তঃসত্ত্বাকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার ডা. ধীমান মণ্ডল জানান, তিনি মারধরের অভিযোগ পেয়েছেন। তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়। প্রসূতির পরিজনদের সুবিচারের আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply