পলাতক আসামি তারেক দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালিয়েই যাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

|

বাংলাদেশের অগ্রগতি নিয়ে পলাতক দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমান চক্রান্ত করছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার সব ধরনের চক্রান্ত মোকাবেলা করে দেশকে এমন একটি অবস্থানে নিয়ে গেছে, যাতে বাংলাদেশকে সম্মান করতে হবে বিশ্বকে।

শনিবার (১২ নভেম্বর) দেশে ফেরার আগে প্যারিসে এক নাগরিক সংবর্ধনায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন। প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটি এ সংবর্ধনার আয়োজন করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১০ ট্রাক অস্ত্র উদ্ধার ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার পলাতক আসামি তারেক রহমান বিদেশে অবস্থান করে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। ২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলার সাথে তারা যে সরাসরি জড়িত, এটা প্রমাণিত সত্য। আর সেই মামলায় তারেক জিয়া সাজাপ্রাপ্ত আসামি। এখন সে সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে পলাতক। পলাতক হিসেবে বাইরে বসে দেশের ভেতরে এখনও তার চক্রান্ত শেষ হচ্ছে না। চক্রান্ত সে চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা এই সব চক্রান্ত মোকাবেলা করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আজকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, দেশকে বর্তমান অবস্থানে পৌঁছে দিতে তার সরকারকে বিএনপি- জামায়াত জোটের অগ্নিসংযোগ, তাকে হত্যার জন্য হামলার মতো অনেক বাধাবিপত্তি ও ষড়যন্ত্রের মুখোমুখি হতে হয়েছে। ২১ বছর পর দায়িত্ব গ্রহণ করে তারা দেশ ও জনগণের অগ্রগতির জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। অথচ অতীতে বিএনপি-জামায়াত চক্র দুর্নীতি ও ঋণ খেলাপির সংস্কৃতি চালু করে শুধু নিজেদের ভাগ্য বদলের জন্য অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার বাংলাদেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণ করেছে। প্রবাসীরা এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করলে তাদের বিশেষ সুবিধা দেয়া হবে। অতীতে গণতান্ত্রিক সব সংগ্রাম ও আন্দোলনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা সব সময় জনগণের পাশে ছিলেন।

কোভিড মহামারী নিয়ন্ত্রণে রেখে জীবন- জীবিকার সুরক্ষার পাশাপাশি দেশের অর্থনীতির চাকা চালু রাখতে সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ, চাকরিজীবী, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ সবাইকে বিনামূল্যে টিকা দেয়া হয়েছে, যা অনেক উন্নত দেশও করতে পারেনি।

দেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন প্রকল্প পদ্মা সেতুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বব্যাংক এ প্রকল্পের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরলেও তা পরে কানাডার আদালতে ভিত্তিহীন প্রমাণিত হয়েছে। নিজেদের অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণে তার সরকারের দৃঢ় পদক্ষেপ বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ও মর্যাদা বিশ্বে আরও সুমুজ্জল করেছে।

স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে জলবায়ু সম্মেলনে অংশ নেয়ার পর লন্ডন ও ফ্রান্স সফরে যান প্রধানমন্ত্রী। শনিবার (১৩ নভেম্বর) ফ্রান্সের স্থানীয় সময় বিকেলে তিনি দেশের পথে রওনা দিয়েছেন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply