পাবনা প্রতিনিধি:
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় জামাই ও তার পরিবারের সদস্যদের মারধরে আইরুন নেছা (৬০) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার ( ১৬ নভেম্বর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই নারী মারা যান। নিহত নারী উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের হেলেঞ্চা গ্রামের মৃত আইয়ুব আলীর স্ত্রী। অভিযুক্ত জামাতা দিনমজুর রবিউল ইসলাম একই ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় নিহতের ছেলের অভিযোগে পুলিশ একজনকে আটক করেছে।
লিখিত অভিযোগ ও পরিবারের সাথে কথা বলে জানা যায়, চার বছর আগে আইরুন নেছার মেয়ে আদুরি খাতুনের সাথে রবিউলের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে রবিউল স্ত্রী ও এক কন্যাকে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতেই থাকতো। এক পর্যায়ে স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটলে গত ৮ মাস আগে রবিউল শ্বশুর বাড়িতে স্ত্রী-কন্যা ফেলে রেখে নিজের গ্রামে চলে যায়। এরপর থেকে রবিউলের সাথে শ্বশুরবাড়ির আর কোনো যোগাযোগ নেই।
এ অবস্থায় গত মঙ্গলবার আইরুন নেছা ইউনিয়নের চন্ডিপুর বাজারে হতদরিদ্রদের খাদ্য সহায়তা প্রকল্পের আওতায় ১০ টাকা কেজি দরের চাল আনতে যান। সেখানে জামাতা রবিউলের সঙ্গে দেখা হয় তার। এসময় রবিউলের অনুরোধে তিনি জামাই বাড়ি যান। বাড়িতে যাওয়ার পর আইরুন নেছার সাথে বাকবিতণ্ডা হলে রবিউল, তার মা ও বোন রেবেকা মিলে শ্বাশুড়ীকে বেধড়ক মারধর করেন।
এতে অসুস্থ হয়ে পড়লে আইরুন নেছাকে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা মুমূর্ষ হওয়ায় সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নিতে বলেন। কিন্তু রবিউল শাশুড়িকে জেলা সদরে না নিয়ে ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। পরে রাত দেড়টার দিকে তিনি মারা গেলে রবিউল সহ অন্যরা হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়। এরপর সকালে আইরুন নেছার ছেলে আবু সামা থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ রবিউলের বোন রেবেকাকে আটক করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফয়সাল বিন আহসান বলেন, হত্যার অভিযোগে প্রধান অভিযুক্ত রবিউলের বোন রেবেকাকে আটক করা হয়েছে। অন্যদেরও আটকের চেষ্টা চলছে।
Leave a reply