২২ বছর পর কৃষক হত্যা মামলার রায়, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ৮ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড

|

গাইবান্ধা প্রতিনিধি:

গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলার আলোচিত কৃষক হাসান আলী (৪৫) হত্যা মামলার ৮ আসামিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেয় আদালত। এদিকে, মামলার অপর ৮ আসামি নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

দণ্ডপ্রাপ্ত আট আসামি হলেন, পলাশবাড়ি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জামাত নেতা মওলানা নজরুল ইসলাম লেবু, পলাশবাড়ি উপজেলা জাতীয়তাবাদি শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক শাহ জালাল সরকার তার ভাই আব্দুর রউফ, গোলাম মোস্তফা, শাহ আলম ও ভাগ্নে ফারুক মিয়া, মিজানুর রহমান ও গাওরা তালেব। তাদের বাড়ি পলাশবাড়ি উপজেলার রামকৃষপুর, সুইগ্রাম, জামালপুর ও পীরগঞ্জের গাংদুয়ার হলদিয়া গ্রামে।

অন্যদিকে, খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন, রফিকুল, মুছা, আবু বক্কর, আব্দুর রহিম, শফিকুল ইসলাম, মালেক ও লুৎফর রহমান।

হত্যা মামলার দীর্ঘ ২২ বছর পর বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে গাইবান্ধার সিনিয়র দায়রা জজ আদালতের বিচারক দিলীপ কুমার ভৌমিক এ রায় প্রদান করেন। মামলার ১৬ আসামির মধ্যে আদালতে ১৩ জন আসামির উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করা হয়। রায় ঘোষণার পর আদালতের কাঠগড়ায় কান্নায় ভেঙে পড়েন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা।

মামলা ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৯ সালের ২২ আগষ্ট পলাশবাড়ি আদর্শ ডিগ্রী কলেজে অধ্যক্ষ নিয়োগকে কেন্দ্র করে দণ্ডিত আসামিরা হাসান আলীকে হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় তার ভাই আবুল কাশেম বাদি হয়ে ২৪ আগষ্ট পলাশবাড়ি থানায় ১৭ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০০০ সালের ৩১ মে ১৬ আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করে পলাশবাড়ি থানা পুলিশ। চলতি বছরের ৩ মার্চ এ মামলার স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এ্যাড মো. ফারুক আহমেদ প্রিন্স জানান, রায় ঘোষণার পর দণ্ডপ্রাপ্ত ৬ আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। পলাতক দুই আসামিকে গ্রেফতারে পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

এদিকে, আদালতের এ রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী এ্যাডভোকেট মো. সিরাজুল ইসলাম বাবু। এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানান তিনি।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply