ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশে শিকারির পাতা ফাঁদে পড়ে অর্ধেক শুঁড় হারানো সেই হাতির ছানাটি মারা গেছে। বিপন্নপ্রায় সুমাত্রান প্রজাতির এই বাচ্চা হাতিটি নিজেদের পাল থেকে আলাদা হয়ে ধরা পড়েছিল শিকারির পাতা ফাঁদে।
ফাঁদে আহত অবস্থায় প্রথম এই হাতিটিকে দেখতে পেয়েছিল আচেহ প্রদেশের জায়া গ্রামের বাসিন্দারা। এরপর চিকিৎসার জন্য সেটিকে তারা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ সংস্থার কাছে নিয়ে যান। সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে একরকম নিরুপায় হয়েই কাটতে হয়েছিল হাতিটির শুঁড়ের একটা বড় অংশ। তবু শেশ রক্ষা হয়নি। সংক্রমণ ছড়িয়ে যায় গোটা দেহেই।
আচেহ ন্যাচারাল রিসোর্স কনজারভেশন এজেন্সির প্রধান আগুস আরিয়ানতো জানান, আঘাত গুরুতর হওয়ায় এবং সংক্রমণের মাত্রা গভীর হওয়ার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও তারা বাঁচাতে পারেননি হাতিটিকে।
এই প্রজাতির হাতির প্রাকৃতিক আবাসস্থল হলো ইন্দোনেশিয়ার বোর্নিও ও সুমাত্রা দ্বীপ। কিন্তু দ্রুত এসব এলাকায় বন উজাড় হওয়ার কারণে বিশেষত পুরুষ হাতিগুলো ঝুঁকিতে রয়েছে। কারণ কালোবাজারে এদের দাঁতের চাহিদা ও মূল্য তুঙ্গে।
সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ায় শিকার পাতা ফাঁদে হাতি আক্রান্তের ঘটনা বেড়েছে। চলতি বছরের জুলাই মাসেও এ ধরনের একটি ঘটনা ঘটেছে। যেখানে একটি প্রাপ্ত বয়স্ক হাতিকে দেহ ও মস্তক দ্বিখণ্ডিত অবস্থায় পাওয়া যায়। খবর বিবিসির।
Leave a reply