বাংলাদেশে ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার অভিযোগে ফেসবুক-এর প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন ৪ নাগরিক। এছাড়াও এ ধরনের ঘটনায় ফেসবুকের অপব্যবহার রোধে ৩ দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছেন তারা।
নোটিশটি পাঠিয়েছেন সিনিয়র সাংবাদিক সেলিম সামাদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক ডক্টর এস এম মাসুম বিল্লাহ, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জর্জ চৌধুরী এবং বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতা ভিক্টর রায়ের পক্ষে তার আইনজীবী তাপস কান্তি বল।
অন্যদিকে যাদের উদ্দেশে নোটিশটি পাঠানো হয়েছে তারা হলেন- বাংলাদেশ টেলিকমিনিউকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরটি) চেয়ারম্যান, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব; স্বরাষ্ট্র (জন নিরাপত্তা) সচিব, ডিজিটাল নিরাপত্তা সংস্থার মহাপরিচালক এবং ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ।
ফেসবুক কর্তৃক ছড়িয়ে পড়া ভুয়া খবর, বিকৃত ছবি, এডিটেড ভিডিও, অডিও, উসকানিমূলক পোস্ট, মিথ্যা তথ্য ও গুজবের মাধ্যমে দেশে দাঙ্গাসহ বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে এবং আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক নানা প্রেক্ষাপটে অস্থিরতা দেখা দিচ্ছে দাবি করে এ নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানানো হয় আইনী নোটিশে।
নোটিশে বলা হয়েছে, গত ১৩ অক্টোবর হিন্দুদের মন্দিরে কোরআন শরিফ রাখা হয়েছে ফেসবুক পোস্টে দাবি করা হয়। সেটি ছড়িয়ে পড়ায় সারা দেশের ২৭টি জেলায় সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটে। ফেসবুক এ ধরনের ঘৃণিত পোস্ট বন্ধে বা নিয়ন্ত্রণে বিবাদীরা সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে।
এ ধরনের ভুল তথ্য ও বিভ্রান্তির ফলে গত ১৩ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের ২৭টি জেলায় বাংলাদেশের হিন্দু জনগণের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে তারা আইনি নোটিশে জানান।
নোটিশে বলা হয়েছে, এই সময়ে ১১৭টি মন্দির ও মণ্ডপ ভাংচুর করা হয়, ৩০১টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাট করা হয়, পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া সহিংসতায় নিহত হয়েছেন ৯ জন।
Leave a reply