মোবাইল রেখে পড়তে বলায় অভিমানে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা

|

ছবি: সংগৃহীত।

অনলাইনে ক্লাস শুরু হওয়ার পর থেকে মোবাইল নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে ছাত্র- ছাত্রীদের একাংশ। আর সেই মোবাইলের নেশা এবার প্রাণ কাড়লো গড়বেতার কিশোরীর। পশ্চিমমেদিনীপুরের গড়বেতার দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীর জীবনের করুণ পরিণতি ডেকে আনল মোবাইল।

হিন্দুস্থান টাইমসের প্রতিবেদনে জানা যায়, শিক্ষার্থীর নাম বর্ণালী পাল। ধোবাবেরিয়া স্কুলে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে। বেশিরভাগ সময় মোবাইলেই বুঁদ হয়ে থাকত সে। ইদানিং পড়াশোনাতেও বিশেষ মন ছিল না তার। পড়াশোনা করার সময়ও ক্রমেই কমে আসছিল ছাত্রীটির। দিনের বেশিরভাগ সময়ই মোবাইলে ব্যস্ত থাকত। গভীর রাতেও মোবাইল নিয়েই ব্যস্ত থাকত মেয়ে। তার এই অতিরিক্ত মাওবাইল আশক্তি নিয়ে অশান্তি লেগেই থাকত। মেয়ের মোবাইলের নেশা ছাড়ানোর জন্য অনেক চেষ্টা করেছিলেন বাবা- মা। কিন্তু মোবাইলের নেশা ছাড়ানো যায়নি। 

এদিকে স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে খবর, মোবাইল ছেড়ে পড়াশোনায় মন দেয়ার জন্য মেয়েকে বলেছিল তার বাবা মা। বকাবকিও করেছিলেন। এরপরই এ নিয়ে কিছুটা অভিমান হয় বর্ণালীর। বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিল সে। বহু খোঁজাখুঁজির পরেও তাকে পাওয়া যায়নি।

পুলিশের সহায়তায় তার খোঁজ মেলে। বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয় তাকে। কিন্তু তখনও অভিমান কমেনি ছাত্রীর। শনিবার (২০ নভেম্বর) সকালে নিজের শরীরে আগুন দেয় ওই কিশোরী। কিছু বুঝে ওঠার আগেই জ্বলে যায় ছাত্রীর শরীর। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় বাড়ির লোকজন। চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply