নারায়ণগঞ্জ জুড়ে জরাজীর্ণ গ্যাসলাইন, অহরহ ঘটছে দুর্ঘটনা

|

নারায়ণগঞ্জজুড়েই গ্যাসের জরাজীর্ণ আর অবৈধ লাইনের ছড়াছড়ি। এতে একের পর এক ঘটছে দুর্ঘটনা। দুই বছরে গ্যাসলাইনের এসব দুর্ঘটনায় মারা গেছে অন্তত অর্ধশত, দগ্ধ হয়েছে দুই শতাধিক মানুষ। এ নিয়ে মানুষের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা থাকলেও তিতাসের নির্বিকার ভূমিকায় ক্ষুব্ধ তারা।

ফায়ার সার্ভিসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০২০ সালের হিসেব অনুযায়ী, নারায়ণগঞ্জে গ্যাস বিস্ফোরণ থেকে অগ্নিকাণ্ড হয়েছে ১০৬টি। এরমধ্যে ৮৬টিই পাইপলাইনের লিকেজ। এর মধ্যে দগ্ধ হয়েছেন ৮২ আর মারা গেছেন ৩৯ জন। সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা ছিল তল্লা মসজিদের আলোচিত ঘটনাটি। আর এ বছরের ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত ১২৫টি আগুনের ঘটনায় ৮০টি গ্যাসলাইন থেকে। মৃত্যু ২৫ জনেরও বেশি।

এসব ঘটনায় শুধু যে প্রাণহানি হচ্ছে তা নয়, ধ্বংসস্তূপে পরিণত হচ্ছে ভবনগুলো। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মালিক আর আশপাশের বাসিন্দারাও। ছড়াচ্ছে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা। স্থানীয়রা বলছেন, প্রতিটি ঘটনায় তদন্ত কমিটি হলেও তা আলোর মুখ দেখে না। নির্বিকার তিতাস কর্তৃপক্ষ। জরাজীর্ণ অবস্থায় অবৈধ লাইনের ছড়াছড়ি। সাধারণ মানুষের অভিযোগ, এই অনিয়মের সাথে জড়ি বিভিন্ন চক্র।

তবে এজন্য গ্রাহকদের অসচেতনতাকেই দায়ী করছেন তিতাস ফতুল্লা অঞ্চলের ম্যানেজার প্রকৌশলী আতিকুল ইসলাম। আর দুর্ঘটনা এড়াতে সচেতনতার পরামর্শ দিলেন নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন।

অন্যদিকে বিস্ফোরণে প্রাণহানি কমাতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে বলে জানালেন জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ। পাশাপাশি সচেতন হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন তিনিও।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply