কক্সবাজারে আবারও বৈদ্যুতিক শকে হাতির মৃত্যু

|

কক্সবাজার প্রতিনিধি:

কক্সবাজারে আবারও বৈদ্যুতিক শকে হাতি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের গজালিয়ার (৯নং ওয়ার্ড) সাতঘরিয়াপাড়া সংলগ্ন ক্লিব্বা নামক এলাকায় রোববার (২১ নভেম্বর) এই ঘটনা ঘটে। বৈদ্যুুতিক শকে হাতি মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ময়নাতদন্তকারী কর্মকর্তা। বন কর্মকর্তারা বলছেন চূড়ান্ত ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

রোববার সকাল ৭টার দিকে অজ্ঞাতনামা একদল কাঠুরিয়া লাকড়ি সংগ্রহ করতে যাওয়ার পথে একটি ঝিরিতে হাতিটিকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায় এবং তারা বিষয়টি স্থানীয়দের জানায়। স্থানীয় লোকজন বনবিভাগকে হাতি মৃত্যুর বিষয়টি অবগত করলে দুপুরে বন বিভাগের ফুলছড়ি রেঞ্জের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছেন।

ফুলছড়ি রেঞ্জের অধীন রাজঘাট বিট কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন জানান, মৃত হাতিটি পুরুষ এবং এটির বয়স আনুমানিক দেড় থেকে দুই বছরের মত হবে। এটি দৈর্ঘ্যে ৭ ফুট, প্রস্থ ৫ ফুট এবং শুড় আড়াই ফুট। ফুলছড়ির রেঞ্জ কর্মকর্তা ফারুক আহমদ বাবুল প্রাথমিকভাবে জানান হাতিটি পা পিছলে পড়ে মারা গিয়ে থাকতে পারে।

তবে ময়নাতদন্তের পর রামু উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. জুলকারনাইন জানান, বৈদ্যুতিক শকে হাতিটির মৃত্যুর আলামত পাওয়া গেছে। এ ছাড়া হাতিটির শরীরে বাহ্যিক কিছু ক্ষতচিহ্ন ছিল। ডুলাহাজরা বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্কের ভেটেরিনারী সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ও ডা জুলকারনাইন যৌথভাবে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন।

ফুলছড়ির এসিএফ ড. প্রান্তোষ চন্দ্র রায় জানান, ময়না তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে সে অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

এর আগে গত ৩১ আগস্ট কক্সবাজারের রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের ধোয়াপালং এলাকায় একটি বন্য হাতিকে বিদ্যুতের শট সার্কিটের ফাঁদে ফেলে হত্যার পর কেটে হাতিটির শরীর থেকে মাথা ও পা বিচ্ছিন্ন করে ফেলে দুর্বৃত্তরা। 


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply