ভিন্ন ধর্মে বিয়ে মেনে নেয়নি পরিবার। যার জেরে চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হলেন যুগল। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের হুগলি জেলার খামারগাছি ও বলাগড় স্টেশনের মাঝামাঝি জায়গায়। আনন্দবাজার পত্রিকার।
খবরে বলা হয়, নিহতরা হলেন সঞ্জিত সরকার ও রুবিনা খাতুন। সঞ্জিতের বাড়ি বলাগড় থানার শেরপুরে। আর রুবিনার বাড়ি একই থানার শিমুলিয়া অঞ্চলে। ১৬ বছর বয়স থেকেই একে অপরে সঙ্গে ভালবাসার সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন সঞ্জিত ও রুবিনা। দু’জনের পরিবার ওই সম্পর্ক মানতে অস্বীকার করায় একবার বাড়ি ছেড়ে পালিয়েও গিয়েছিলেন তারা। পরে অবশ্য পুলিশের হস্তক্ষেপে ঘরে ফিরে এসেছিলেন সঞ্জিত ও রুবিনা।
আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এরপরই অন্য ছেলের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিয়ে দেয় রুবিনার পরিবার। কিন্তু তখন সঞ্জিতের সঙ্গে তার সম্পর্ক চলমান ছিল। গোপনে যোগাযোগ করতেন তারা। কিন্তু আর কখনওই তাদের এক সঙ্গে থাকা হবে না ভেবে শেষমেশ আত্মহত্যার পথ বেছে নেন রুবিনা ও সঞ্জিত।
দু’জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পূর্ব বর্ধমানের কালনা জিআরপি। ময়নাতদন্তের জন্য দু’টি দেহ কালনা মহকুমা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
সঞ্জিতের বাবা সুভার সরকার বলেন, দুই পরিবারের কেউই ওদের সম্পর্ক মেনে নেয়নি। তাই হয়তো এই সিদ্ধান্ত!
ইউএইচ/
Leave a reply