বিজেপির নিরাপত্তা ঢাল কি বিএসএফ? মোদিকে প্রশ্ন করতে দিল্লির পথে মমতা

|

ছবি: সংগৃহীত।

সীমান্তে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের ক্ষমতা বাড়ানো নিয়ে রাজনৈতিকভাবে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে দেশটিতে। বিএসএফের এক্তিয়ারভুক্ত এলাকা ১৫ কিলোমিটার থেকে ৫০ কিলোমিটার হওয়া নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের সাথে কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে শুরু হয়ে তীব্র টানাপোড়েন। আর এরই জেরে এবার সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে কথা বলতে দিল্লি যাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

সোমবার (২২ নভেম্বর) মোদির সাথে এ নিয়ে আলোচনা করতে দিল্লি রওনা দিয়েছেন মমতা। এ দিন কলকাতা বিমানবন্দরে মমতা বলেন, বাংলার উন্নয়নের নানা বিষয় নিয়ে কথা তো হবেই। তবে মূলত আলোচনা হবে বিএসএফ নিয়ে। তিনি আরও বলেন, বিএসএফের ব্যাপারে কথা বলতে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চাইবো, বিএসএফ মানে বিজেপি ‘সেফ’ কি না।

অর্থাৎ, নির্বাচনে জিতে পশ্চিমবঙ্গকে বাগে আনতে না পরলেও এবারে বিএসএফের ক্ষমতা বাড়ানো মাধ্যম্যেই এই রাজ্যে বিজেপি তাদের লক্ষ্য পূরণ করতে চায় কি না সেই প্রশ্নই এবারে সরাসরি মোদিকে ছুঁড়ে দেবেন মমতা।

মমতা বলেন, গায়ের জোরে এলাকা দখল করতে দেবো না। বিএসএফ আমার বন্ধু। তবে বিএসএফ মানে বিজেপি নয়।

মূলত, বিএসএফের এখতিয়ারভুক্ত এলাকা বৃদ্ধি করায় বর্ধিত এলাকার মধ্যে পড়েছে ভারতের সীমান্তবর্তী তিন রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ, আসাম এবং পঞ্জাব। এ সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বর্ধিত এলাকায় তল্লাশি, বাজেয়াপ্ত এবং গ্রেফতার করতে পারবে বিএসএফ। এরপরই সরব হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল।

এর আগে বিএসএফের ক্ষমতাবৃদ্ধির সিদ্ধান্তের নিন্দা জানানোয় অভিনেত্রী ও পরিচালক অপর্ণা সেনের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ জারি করে তাকে ক্ষমা চাইতে বলা হয়। নিজের এক বক্তব্যে এই অভিনেত্রী বিএসএফকে ধর্ষক ও হত্যাকারী বলে মন্তব্য করেছিলেন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply