তখন সকাল পৌনে ৭টা। রাজশাহীর কুমারপাড়া এলাকার সুরজিৎ বাগচির পরিবারের সদস্যরা কেউ উঠেছেন ঘুম থেকে, কেউবা আড়মোড়া ভাঙ্গছেন বিছানায়। হঠাৎ তার দুই মেয়ে ঘুম থেকে উঠে দেখতে পান বিছানার ওপরে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলছে বড় একটি গোখরো।
আতংকিত পরিবার দিশে হারিয়ে সঙ্গে সঙ্গে খবর দেন ফায়ার সার্ভিসে। উদ্ধারকর্মীরা ছুটে আসলেও সাপটিকে বাগে আনতে সক্ষম হচ্ছিলেন না। এ সময় সাপটি পিটিয়ে মারতে উদ্যত হয় এলাকাবাসী। তাতে বাঁধা দেন একজন সাংবাদিক।
তার পরামর্শে সাপ বিষয়ে অভিজ্ঞ বোরহান বিশ্বাসকে ডেকে আনা হয় পবা উপজেলা থেকে। এরই মধ্যে কাটে রুদ্ধশ্বাস ১ ঘন্টা। শেষ পর্যন্ত কোনো ক্ষয়-ক্ষতি ছাড়াই জীবিত উদ্ধার করা হয় গোখরা সাপটিকে।
রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার ফরহাদ হোসেন জানান, তাদের এ বিষয়ে কোন প্রশিক্ষণ না থাকায় এগুতে পারেননি। সাপ উদ্ধারও একটি দূর্যোগ। এ বিষয়ে সক্ষমতা অর্জনের চেষ্টা চালাচ্ছেন তারা।
গৃহকর্তা সুরজিৎ বাগচি বলেন, যেহেতু যে কোনো দুর্যোগে সাহায্যের জন্য মানুষ সবার আগে ফায়ার সার্ভিসকেই পাশে পায়। সে কথা ভেবেই তিনি খবর দিয়েছিলেন।
Leave a reply