গুরুতর অসুস্থ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন সংগীতশিল্পী শারমিন আকতার। গান গেয়ে লাখো মানুষের মন জয় করা শারমিন এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন হাসপাতালের বেডে।
হাসপাতালের বিছানায় সংকটাপন্ন অবস্থায় শারমিন। শারীরিক অবস্থা দিন দিন অবনতি হচ্ছে। থাইরয়েড সমস্যা দিয়ে শুরু হলেও এখন শরীরের রক্ত সঞ্চালন ১০ ভাগে নেমে এসেছে। এই মুহূর্তে জীবন মরণের সন্ধিক্ষণে রয়েছেন তিনি।
একদিকে জীবননাশের শঙ্কা, অন্যদিকে টাকার অভাবে উন্নত চিকিৎসা করানোও সম্ভব হচ্ছে না শারমিনের। মেয়ে বাঁচবে কি বাঁচবে না সেই উৎকণ্ঠায় মায়ের চোখের পানিও আর থামতে চাইছে না। কান্না জড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, আমার মেয়েটাকে বাঁচান। দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই আমার মেয়ে যেনো আগের মতো ভালো হয়ে যায়।
অসহায় বাবা হুমায়ুন কবিরও পেশায় একজন শিল্পী। মেয়েকে বাঁচাতে নিরুপায় বাবা তাকিয়ে স-হৃদয়বান ব্যক্তিদের সাহায্যের অপেক্ষায়। বাবা হুমায়ুন কবির বলেন, একশ’র মধ্যে ৫ শতাংশ বেঁচে থাকার সম্ভাবনা দেখছেন ডাক্তাররা। তারা বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী মেয়েকে বাঁচিয়ে তোলার নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না। মেয়ের চিকিৎসা করাতে হিমশিম খাচ্ছে তার অসচ্ছল বাবা মা।
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার ২০ বছর বয়সী শারমিন আকতার বাবা-মার সঙ্গে রাজধানীর দক্ষিণ বাড্ডায় বসবাস করেন। শারমিনের দাদা গান গাইতেন। বাবা গান লেখেন, সুর করেন। পছন্দ করেন গাইতেও। ফলে গানটা শারমিনের রক্তে। বাবা-দাদার পথ ধরেই গাইছেন মাটির গান, প্রাণের গান, বাংলা গান। বাবা যেমন শত কষ্টেও হাল ছাড়েননি, কন্যাও পিছিয়ে থাকেনি। শারমিন চ্যাম্পিয়ন হন ‘আড়ং ডেইরি-চ্যানেল আই বাংলার গান-২০১৬’তে। শারমিনের বাবা হুমায়ুন সরকার একাধারে কণ্ঠশিল্পী, সুরকার ও গীতিকার।
ইউএইচ/
Leave a reply